অল্প বয়সে চুলে পাক ধরলে মোটেই ভাল লাগে না। লিভারের গণ্ডগোল থাকলে কম বয়সেই পাকা চুলের সমস্যা বাড়ে। আবার কিছু ক্ষেত্রে চুলের অযত্ন করলেও ধূসরতা বাড়ে। তাছাড়া দূষণও অনেকাংশে দায়ী পাকা চুলের পিছনে। দেহে পুষ্টির অভাব, থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ধূমপান ও অক্সিডেটিভ চাপও দায়ী হয় কম বয়সে চুল পেকে যাওয়ার পিছনে। কারও ক্ষেত্রে জিনগত সমস্যাও হতে পারে। যে কারণেই চুলে পাক ধরুক না কেন, সাদা চুল কারওই পছন্দ নয়। তাই অনেকেই পাকা চুল ঢাকতে হেয়ার কালা, হেনার সাহায্য নেন। তবে, ৫ বিষয়ের উপর জোর দিলে আপনি এড়াতে পারবেন পাকা চুলের সমস্যা। সেগুলো কী-কী, জেনে নিন।
১) অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার দেহের অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে সাহায্য করে। এর জেরে চুল ও ত্বক দুটোই ভাল থাকে। সবুজ শাকসবজি, গ্রিন টি, অলিভ অয়েল, মাছ, বাদাম, ফল, ডাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস।
২) পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করুন: দেহে কোন পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে, তা জানা ভীষণ দরকার। এর দ্বারা আপনি একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। সাধারণত চুলের জন্য ভিটামিন বি১২ ও ভিটামিন ডি অপরিহার্য। এই পুষ্টি সামুদ্রিক খাবার, ডিম, মাংস, দুধ, মাছ, চিজের মধ্যে পেয়ে যাবেন।
৩) ধূমপান ছাড়ুন: ধূমপানের কারণে দেহে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। ক্যানসার না হলেও কম বয়সে চুল পেকে যেতে পারে ধূমপানের কারণে। এটি অক্সিডেটিচ স্ট্রেস তৈরি করে, যার জন্য দেহের উপর চাপ সৃষ্টি হয় এবং শরীরের ক্ষতি হয়। শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে ধূমপান ছাড়তেই হবে।
৪) আমলকির সাহায্য নিন: আমলকির মধ্যে অ্যান্টি-এজিং ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে। আমলকি খেলে চুলের সমস্যা কমবে এবং দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এছাড়া আপনি আমলকির তেল বা হেয়ার প্যাক বানিয়েও চুলে মাখতে পারেন। এতেও পাবেন মনের মতো কালো চুল।
৫) কপার-যুক্ত খাবার: দেহে কপারের ঘাটতি থাকলে কম বয়সে চুল ধূসর হয়ে যেতে পারে। তাই ডায়েটে কপার সমৃদ্ধ খাবার বিফ লিভার, ডাল, আমন্ড, ডার্ক চকোলেটের মতো খাবারে আপনি কপার পেয়ে যাবেন। এতে চুলের সমস্যাও এড়াতে পারবেন।