পরিবেশের রক্ষা অনেকেই চেয়ে থাকেন। কিন্তু তা আর হচ্ছে কই। প্রচুর গাছ কাটা হচ্ছে। ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে কংক্রিটের জঙ্গল। তাতে যেমন জীপন যাপনের মানে উন্নতি হচ্ছে, তেমনই স্বাস্থ্যের দিকে নানা অবনতি। সবরকমের দূষণ আমাদের জীবনকে ‘নরক’ বানিয়ে তুলতে পারে। সেটা শ্বাসজনিত সমস্যার দিক থেকেই হোক কিংবা প্রজননগত ইস্যু। পুরুষ, মহিলা সকলেরই সার্বিক স্বাস্থ্যে বড় ক্ষতি করতে পারে দূষণ। এমনকি সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। বায়ুদূষণের কারণে নানা রোগই বাসা বাঁধে। গবেষণার তথ্য আতঙ্কিত হওয়ার মতোই।
বায়ুদূষণ নতুন নয়। প্রতিটা জায়গাতেই দূষিত বায়ু। তরতাজা অক্সিজেনের কোথায় দেখা মিলবে, এমন জায়গা খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। কোনও শহরে অতিরিক্ত, কোথাও বা তুলনামূলক কম। কিন্তু দূষিত বায়ু সর্বত্র। বায়ুদূষণের কারণে, কার্যত আমরা ‘বিষ’ পান করছি প্রতিনিয়ত। শরীরে নানা ধরনের বিষাক্ত গ্যাস প্রবেশ করছে। এর ফলে নানা বড় অসুস্থতাই হতে পারে। এমনকি পুরুষ ও মহিলাদের বন্ধাত্বের কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে।
নারীদের সন্তান ধারণে কী সমস্যা তৈরি করতে পারে দূষণ? বায়ুদূষণের ফলে পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই প্রজনন ক্ষমতায় প্রভাব পড়ে। গবেষণা বলছে, বিভিন্ন কারখানা, যেখানে কেমিক্যাল ব্যবহার হয় তার নিকটবর্তী অঞ্চলের মানুষের মধ্যে এর প্রভাব বেশি পড়ে। এর ফলে স্বাভাবিক প্রজনন ক্রিয়ায় প্রভাব পড়ে। এমনকি কৃত্রিম প্রক্রিয়াতেও সন্তান ধারণে সমস্যা হতে পারে বলে দাবি গবেষণায়। দূষণ না কমলে যে দৈনন্দিন জীবনে আরও অনেক বড় বড় প্রভাব পড়বে, অনুমান করাই যায়।