সময়ের আগেই জাপানে ফুটল চেরি ব্লসম, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণেই এই পরিবর্তন, বলছেন বিজ্ঞানীরা
Sohini chakrabarty |
Apr 03, 2021 | 6:07 PM
জাপানের Meteorological Agency- র আধিকারিক Shunji Anbe জানিয়েছেন, এমনিতেই চেরি গাছ খুব স্পর্শকাতর অর্থাৎ সেনসিটিভ। আর আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় এইসব গাছ আরও সেনসিটিভ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, এইসব গাছে ফুল এলে তার ধরণ দেখেও আবহাওয়া পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।
1 / 7
গোলাপি রঙের চেরি ব্লসম ফুলে ভরে গিয়েছে জাপানের বিভিন্ন শহর। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক আগেই ফুটেছে এই ফুল। বিজ্ঞানীরা বলছেন, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণেই এমন পরিবর্তন হয়েছে। এপ্রিল মাস আসলে জাপানে চেরি ব্লসম ফোটার আদর্শ সময়। এবছর তার অনেক আগেই 'পিক সিজন' শুরু হয়ে গিয়েছে।
2 / 7
যে ফুল ফুটলে জাপানে চেরি ব্লসমের সিজন শুরু হয়েছে বলা হয়, সেই ফুল হল জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিখ্যাত সাকুরা ফুল। সাধারণত এপ্রিল মাসে জাপানে যখন নতুন শিক্ষাবর্ষ এবং ব্যবসায়িক বছর শুরু হয়, তখনই এই সাকুরা সবচেয়ে বেশি ফোটে। তবে চলতি বছর এই ফুল ফুটেছে মার্চ মাসেই। জাপানের Meteorological Agency- র এক আধিকারিক Shunji Anbe জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণেই এমনটা হয়েছে।
3 / 7
এবছর ২৬ মার্চ জাপানের প্রাচীন শহর কিয়োটো- তে চেরি ব্লসম অর্থাৎ সাকুরা- র 'পিক ব্লুম' শুরু হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই প্রথম জাপানে এত তাড়াতাড়ি এই ফুলের মরশুম শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র টোকিও নয়, অন্যান্য অনেক শহরেই ফুটেছে এই ফুল। ১৯৫৩ সাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে জাপানের আবহাওয়া দফতর। তার ভিত্তিতেই বলা হয়েছে যে, এই বছরের মতো তাড়াতাড়ি চেরি ব্লসম সিজন কখনও আসেনি জাপানে।
4 / 7
Osaka Prefecture University- র এনভায়রনমেন্টাল সায়েনটিস্ট Yasuyuki Aono অবশ্য বিভিন্ন তথ্যের গবেষণা করে বলেছেন, এর আগে ১২৩৬, ১৪০৯ এবং ১৬১২ সালে এধরণের 'আর্লি চেরি ব্লসম সিজন' দেখা গিয়েছিল। তখন অবশ্য কোনও ডকুমেন্ট রাখা হয়নি। অর্থাৎ তথ্য নথিবদ্ধ করা হয়নি। তবে কিয়োটোর বিভিন্ন ঐতিহাসিক নথি, ডায়েরি এবং কবিতার বই দেখে অনুমান করা হয়েছে যে, এইবছরই সবচেয়ে আগে শুরু হয়েছে চেরি ব্লসম সিজন।
5 / 7
জাপানের আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের মোট ৫৮টি 'বেঞ্চমার্ক' চেরি গাছকে নজরে রেখেছিলেন তাঁরা। এবছর ইতিমধ্যেই ৪০টি গাছে 'পিক ব্লুম' হয়ে গিয়েছে। আরও ১৪টি গাছের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময়েই ফুল ফুটে যাবে পুরোপুরি। সাধারণত দু'সপ্তাহ ধরে এই গাছে ফুল ফোটে। একদম কুঁড়ি থেকে ফুল ফোটা এবং ঝরে যাওয়া পর্যন্ত পুরো সময় লাগে দু'সপ্তাহ।
6 / 7
জাপানের Meteorological Agency- র আধিকারিক Shunji Anbe জানিয়েছেন, এমনিতেই চেরি গাছ খুব স্পর্শকাতর অর্থাৎ সেনসিটিভ। আর আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময় এইসব গাছ আরও সেনসিটিভ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, এইসব গাছে ফুল এলে তার ধরণ দেখেও আবহাওয়া পরিবর্তন সংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। জাপানের মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৫৩ সালে মার্চ মাসে জাপানের কিয়োটো শহরের গড় তাপমাত্রা ছিল ৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২০ সালে সেটা হয়েছিল ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবছর এই তাপমাত্রা ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছে।
7 / 7
জাপানের সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই চেরি ব্লসম বা সাকুরা ফুল। বছরের পর বছর ধরে সাহিত্য-কবিতার পাশাপাশি জাপানের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে চেরি ব্লসম। জীবন-মৃত্যু-পুনর্জন্ম, সবের ক্ষেত্রেই প্রতীক হিসেবে এই সাকুরার উদাহরণ দেওয়া হয়।