বিষাক্ত সম্পর্কে কেই বা জড়াতে চায়! কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায়, নানা কারণে সম্পর্ক বিষিয়ে যায়। কেউ বা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যান। অনেকে ‘মানিয়ে’ নেওয়ার চেষ্টায় থাকেন। আবার অনেকে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন সম্পর্কে জড়ান। জেনে বুঝেও হয়তো বেছে নেন ‘টক্সিক পার্টনারই’! অনেকেই এটিকে স্রেফ ‘দুর্ভাগ্য’ ভেবে নিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিংবা কাকতলীয়! কারণ, একটা সম্পর্ক না হয় বিষিয়ে যেতে পারে, কিন্তু একই ঘটনা একাধিকবার হলে তা তো ভাবারই বিষয়!
টক্সিক পার্টনার বলতে কী বোঝায়?
একজন পার্টনারকে তখনই টক্সিক বলা হয়ে থাকে, যখন তাঁর কারণে আপনার মানসিক, আবেগের এবং শারীরীক ভাবে হেনস্থা হতে হয়। হতে পারে নিয়মিত অপমানজনক মন্তব্য করছেন, সারাক্ষণ সমালোচনা। নিজের সমস্ত সমস্যার জন্য আপনাকেই দায়ী করবেন। সম্পর্কে সততা না রাখা, আপনার প্রয়োজনগুলো এড়িয়ে যাওয়া। এর ফলে আপনার মানসিক পরিস্থিতি খারাপ হয়। আপনাকে প্রতিপদে বুঝিয়ে দেবে, ‘হয় এ ভাবেই থাকো নয়তো সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাও।’
তারপরও দেখা যায়, অনেকেই বারবার একইরকম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর প্রধান কারণ হতে পারে আত্মসম্মান বোধের অভাব! যাঁদের আত্মসম্মান কম, তাঁরা বারবার টক্সিক পার্টনারেই আকর্ষিত হন বলে গবেষণায় ধরা পড়েছে। তাঁরা হয়তো নিজেকে ভালোবাসা কিংবা একটু ভালো আচরণ পাওয়ার যোগ্য মনে করেন না! ধীরে ধীরে এই ধরনের সম্পর্ক মেনে নেওয়াটাই অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।
অতীতের কোনও মানসিক আঘাতও এর অন্যতম কারণ হতে পারে। অল্প বয়সে পরিবারের অবহেলা, বর্তমান পরিস্থিতি মিলিয়ে নিজেকে গুরুত্ব না দেওয়ার কারণেও অনেকে এমন সম্পর্কে বারবার আকৃষ্ট হন। যতদিন না তাঁদের মধ্যে নিজের প্রতি ভরসা, ভালোবাসা এবং সম্মান বাড়ছে সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন না।
আবার অনেক সময় কেউ কেউ এমন সম্পর্কে থেকে যেতে বাধ্য হন। হয়তো সেই ব্যক্তি নিজেকে একটা গণ্ডির মধ্যে আটকে রেখেছেন! হয়তো অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকতেই বেশি পছন্দ। সেটা মানসিক ভাবেই হোক বা সামাজিক, আর্থিক কারণে। তার মানে কি এই বিষাক্ত সম্পর্ক কিংবা এমন পার্টনারের প্রতি আকর্ষণ এড়ানো যায় না? অবশ্যই যায়। আত্মসম্মানবোধ বাড়লে হয়তো বাকি বাধাগুলোও পেরিয়ে যাওয়া সম্ভব।