মেকআপ করতে ভালবাসেন, অথচ মেকআপ করতে পারেন না ঠিকমতো? ফাউন্ডেশন আগে না কন্সিলার– গুলিয়ে যায় সব? আপনার সব সমস্যার সমাধানে সেলিব্রিটি মেকআপ আর্টিস্ট অনুভা দাওয়ার। অনুভার সহজ কয়েকটি টিপস অনুসরণ করে এ বার থেকে নিজের মেকআপ করুন নিজেই।
সিটিএম রুটিন দিয়েই শুরু
সিটিএমের সম্পূর্ণ কথা ক্লিনিং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং। প্রথমেই ফেসওয়াশ দিয়ে মুখটি ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এর পর তাতে টোনার লাগান। তারপরে অ্যাপ্লাই করুন হাল্কা কোনও ময়শ্চারাইজিং ক্রিম। আপনার ডার্ক সার্কেল থাকলে সে ক্ষেত্রে আই ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন। চোখের তলা অনেক উজ্জ্বল দেখাবে।
প্রাইমারের টাচ
এর পরেই আসে প্রাইমার। ময়শ্চারাইজিং ক্রিম মাখার পর মুখে লাগান প্রাইমার। প্রাইমারের কাজ হল সারা দিন মেকআপকে অক্ষত রাখা। শুধু তাই নয় ফাউন্ডেশন যাতে বলিরেখার উপর চেপে না বসে যায় সেটিও খেয়াল রাখে এই প্রাইমার।
চাই সঠিক বেস মেকআপ
হাইড্রেটিং এবং গ্লোয়ি ফাউন্ডেশন বাছতে হবে। ঘাড়ের রঙের সঙ্গে তা ম্যাচ করে কিনা তাও মাথায় রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে লাইট ফর্মুলা ফাউন্ডেশন বেছে নিতে পারেন।
খুঁত ঢাকুন কন্সিলারে
দাগ এবং পিগমেনটেশন ঢাকতে কন্সিলারের জুড়ি মেলা ভার। এর পরেই লাগান কন্সিলার। চোখের নিচে অথবা ঠোঁটের নিচে দুই ধারে।
চোখেই চমৎকার
আপনি মুখে মেকআপ করুন কম করুন, ক্ষতি নেই, কিন্তু চোখ যাতে আকর্ষণীয় লাগে তা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে পিচ ক্রিম আইশ্যাডো আপনি বেছে নিতে পারেন। আইল্যাশ ক্রাল করে নিন। এর পর তাতে মাস্কারা লাগান। চোখের দুই কোনে হাইলাইটার লাগাতে ভুলবেন না। ইচ্ছে হলে আইলাইনার-কাজল লাগাতে পারেন।
ব্লাশারে বাজিমাত
ব্লাশারের রঙ বেছে নেওয়াও কিন্তু আরও এক কঠিন কাজ। খুব হাল্কা অথবা খুব গাঢ় রঙের ব্লাশার হলে বয়স বেশি লাগতে পারে। দেখবেন আপনার ব্লাশ প্যালেটে যেন ম্যাট এবং শিমার শেড থাকে।
পাউট পাউট পাউট
করিনার মতো পাউটি ঠোঁট পেতে গেলে কিন্তু লিপ্সটিক লাগানোর আগে লাগাতে হবে লিপ বাম। একটু ডার্ক শেডের লাইনার দিয়ে লিপ লাইন এঁকে নিন। এ বার পছন্দমতো রঙের লিপস্টিক লাগান।
সেটিং স্প্রে
যদি সারাদিনের জন্য মেকআপ করেন তবে সেটিং স্প্রে কিন্তু অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। মেকআপ হয়ে গেলে হাল্কা স্প্রে করে নিন। ঘাঁটবে না মেক আপ।