Beauty Tips: বর্ষায় ওয়াক্সিং করার সময় এই ৫ ভুল মোটেও নয়, নইলে ভ্যানিশ হবে ত্বকের জেল্লা!
বর্ষাকালে ওয়াক্সিং করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ. যাতে ত্বক নিরাপদ থাকে এবং লোমও ঠিক করে শরীর থেকে উঠে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু সহজ এবং কার্যকর টিপস, যেগুলো মেনে চললে যে কেউ এই বর্ষাকালে কোনও সমস্যা ছাড়াই ওয়াক্সিং করতে পারবেন।

বর্ষাকাল শুরু হলেই আবহাওয়া তুলনামূলক ঠান্ডা হয়ে ওঠে। এই আবহাওয়ায় ওয়াক্সিং করানোর ঝামেলা অনেক। এই সময় অবাঞ্ছিত রোম তুলতে গিয়ে বেশ কিছু ভুল করলে ত্বকের হয় দফারফা। তবে ওয়াক্সিং যখনই করা হোক না কেন, শরীরে ব্যথা অনুভব হয়। তাই কয়েকটি টিপস কাজে লাগান, যার ফলে একদিকে ওয়াক্সিংয়ের ব্যথা কমানো যাবে, পাশাপাশি বর্ষায় ত্বকের জেল্লাও ধরে রাখতে পারবেন।
বর্ষায় কখনও কখনও ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। যার ফলে ওয়াক্সিং করতে সমস্যা হয়। আবার ওয়াক্সিং করানোর সময় কখনও কখনও মোম ঠিকমতো শরীরে লাগে না। যার ফলে শরীরের অবাঞ্ছিত রোম পুরোপুরি ওঠে না। তার উপরে ওয়াক্সিংয়ের সময় ত্বকে আঠালো ভাব বোধ হয়, ছত্রাকের সংক্রমণ এবং ঘামের কারণে ত্বক আরও বেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে, যদি সঠিকভাবে ওয়াক্সিং না করা হয়, তা হলে ত্বকেরও ক্ষতি হতে পারে।
বারবার পার্লারে যাওয়া বেশ কঠিন ও খরচসাপেক্ষ। তাই, বর্ষাকালে ওয়াক্সিং করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ. যাতে ত্বক নিরাপদ থাকে এবং লোমও ঠিক করে শরীর থেকে উঠে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু সহজ এবং কার্যকর টিপস, যেগুলো মেনে চললে যে কেউ এই বর্ষাকালে কোনও সমস্যা ছাড়াই ওয়াক্সিং করতে পারবেন।
১. ওয়াক্সিং করার আগে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করুন – বর্ষাকালে ব্যাকটেরিয়া এবং ঘামের কারণে ত্বকে ময়লা জমে। ওয়াক্সিং করার আগে, হালকা ক্লিনজার বা অ্যান্টিসেপটিক ওয়াইপ দিয়ে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে এবং মোম আরও ভালোভাবে লেগে থাকবে।
২. পাউডার ব্যবহার করুন – ত্বকে অতিরিক্ত ঘাম হলে মোম ঠিকমতো কাজ করে না। এই পরিস্থিতিতে, মোম লাগানোর আগে যেখানে রোম তুলতে চাইছেন, সেখানে সামান্য ট্যালকম পাউডার লাগান। এটি আর্দ্রতা শোষণ করে এবং মোম লাগানোর প্রক্রিয়াটিকে সহজ করে তোলে।
৩. গরম মোমের পরিবর্তে ঠান্ডা মোম ব্যবহার করতে পারেন – বর্ষাকালে ত্বকে অনেকের জ্বালাপোড়া বোধ হয়। তাই গরম মোম জ্বালাপোড়া বা লালচে ভাব সৃষ্টি করতে পারে। ফলে ঠান্ডা মোম বা চিনির মোম ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের জন্য নরম, কম ক্ষতি করে। এছাড়াও, পুরেপুরি রোম শরীর থেকে সরিয়ে দিতে পারে।
৪. ত্বক এক্সফোলিয়েট জরুরি – ওয়াক্সিং করার একদিন আগে ত্বক আলতো করে এক্সফোলিয়েট করুন। এতে মৃত কোষ উঠে যায় এবং চুল গজাতে শুরু করার ঝুঁকিও কমে। ওটমিল বা কফি স্ক্রাবের মতো প্রাকৃতিক স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন।
৫. ওয়াক্সিং করার পরপরই ময়েশ্চারাইজার লাগান – ওয়াক্সিং করার পর ত্বক শুষ্ক এবং সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। তাই ত্বককে নরম রাখতে এবং লালচে ভাব রোধ করতে অ্যালোভেরা বা ক্যামোমাইলযুক্ত ময়েশ্চারাইজার লাগান। এটি জ্বালাপোড়া কমানোর পাশাপাশি ত্বকে আরাম দেবে।





