বৈশাখ মাস আসতে এখনও কিছুদিন বাকি আছে। কিন্তু বাইরে বেরোলে রোদের তেজে টেকা দায়। মাঝে মাঝে অবশ্য বেশ আরামদায়ক ফুরফুরে হাওয়াও দিচ্ছে। তবে তা সাময়িক। বাইরে বেরোলে এখনই গলা শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে। মনে হচ্ছে বাড়ি ফিরে যদি একগ্লাস ঠান্ডা শরবত পাওয়া যেত, তাহলে কী ভালই না হত।
পরিচিত নুন-চিনি-লেবুর শরবতের বদলে এই গরমে বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন লিচু আর আদার রসের শরবত। মিষ্টি লিচু অনেকেরই প্রিয় ফলের তালিকায় থাকে। তাই দিয়েই এবার বানানো হবে একটি ভিন্ন স্বাদের এই শরবত।
আরও পড়ুন- বাঁধাকপির পুর দেওয়া মুচমুচে পরোটা, জলখাবার বা সন্ধের স্ন্যাক্স মেনুতে থাকুক এই খাবার
কীভাবে তৈরি করবেন এই শরবত-
লিচুর এই শরবত তৈরি করতে লাগবে টাটকা মিষ্টি লিচু, আদা কুচি, তুলসী পাতা, গুড় (রস বা সিরাপ), ঠান্ডা জল এবং বরফের টুকরো।
প্রথমে বড় একটা কাচের জগ বা বাটিতে লিচু ছাড়িয়ে রাখুন। অর্থাৎ বীজ বের করে শাঁসের অংশটা নিন। এবার তার মধ্যে তুলসী পাতা আর গুড় দিন। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। যদি মিক্সিতে ব্লেন্ড না করতে চান, তাহলে লিচুর শাঁসগুলো ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
লিচুর শাঁস, ঠান্ডা জল, গুড় আর তুলসী পাতা ভাল করে মেশানো হয়ে গেলে এর মধ্যে মিশিয়ে দিন আদার রস। এরপর ওই মিশ্রণ অন্তত একঘণ্টা ফ্রিজে রাখতে হবে। যে পাত্র মিশ্রণ বানিয়েছেন সেটাও ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিতে পারেন। অথবা গ্লাসে করে ঢেলে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। প্রায় এক ঘণ্টা ফ্রিজে রাখার পর, বের করে নিন।
এরপর বরফের টুকরো দিয়ে খেতে পারবেন শরবত। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে, তাঁরা ঠান্ডার পরিমাণ বুঝে খাবেন। শরবতের গ্লাস সাজানোর জন্য উপর থেকে পুদিনা পাতা আর গ্লাসের সাইডে লেবুর টুকরো লাগিয়ে দিতে পারেন। শরবত বানানোর ক্ষেত্রেও তুলসী পাতার বদলে মিন্ট বা পুদিনা পাতা এবং লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।
তবে চিনি দেবেন না একেবারেই। চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করুন। যাঁদের গুড় পছন্দ নয়, তাঁরা মধু ব্যবহার করতে পারেন।