পুজোর আগে কিংবা পয়লা বৈশাখের সময় ঘর ঝাড়া-মোছার সময় অনেকেই এক ফাঁকে আলমারিও গুছিয়ে নেন। বছর শেষেও এই আলমারি গোছানোর রুটিন আপনার তালিকায় রাখতেই পারেন। হয়তো দেখবেন পুরনো এমন অনেক জিনিস খুঁজে পাবেন যেটা রিশাফলিং করলে আপনার ঘরের বিভিন্ন কাজে লেগে যাবে।
১। স্কার্ফ- পুরনো স্কার্ফে এমব্রয়ডারি করা থাকলে একটা সময় পরে সেই সুতোর কাজ নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে হয়তো সেই স্কার্ফ আর বাইরে ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে বাড়ির টি-টেবিল বা যেকোনও ছোট আকারের টেবিলে ওই স্কার্ফ পেতে রাখতে পারেন টেবিল ক্লথ হিসেবে।
২। শাড়ি- আলমারি থেকে যদি পুরনো সুতির শাড়ি সেটা হাল্কা হ্যান্ডলুম হোক বা ঢাকাই, কিংবা শিফন, তার সাইডে ফ্রিল বা কুচি লাগিয়ে ঘরের পর্দা বানিয়ে নিতে পারেন। এছাড়া শাড়ি দিয়ে পাটিয়ালা প্যান্ট কিংবা কুর্তা বানানোর চল তো রয়েইছে।
৩। পুরনো জিন্স- আজকাল রিপড জিনসের চল। তাই ওয়ারড্রবে পুরনো জিন্স থাকলে সেটাকে একটু কেটে রিপড জিন্স বানিয়ে নিতে পারেন। যে জায়গা গুলো কাটবেন তার চারপাশে ভিতর দিকে দিয়ে সাইড বরাবর সেলাই করে নিন। প্রয়োজনে দর্জির দোকানে যেতে পারেন।
৪। কুশন কভার- কুশন কভারের সামান্য রঙ ফিকে হলে কিংবা রোয়া উঠে গেলে দেখতে বাজে লাগে। এদিকে ফেলে দেওয়ার সময় আসেনি। তাই ওই কুশন কভারের উপর এমব্রয়ডারি বা স্টিচ করে নকশা বানাতে পারেন। কিংবা চারপাশে লেস-ও লাগিয়ে নিতেন পারেন। করতে পারেন কুরুশের কাজ।
৫। পুরনো ওড়না- রঙ চটে না গেলে একটু নতুন লুক দিয়ে ব্যবহার করা যায় পুরনো ওড়নাও। সাইডে ছোট লটকন বা লেস লাগিয়ে নিতে পারেন। সরু জরির বর্ডারও লাগানো যেতে পারে। সুতির বা সিল্কের ওড়না হলে স্টিচও করতে পারেন।