বয়স বাড়ুক না বাড়ুক, মাথায় পাকা চুল বেড়েই চলেছে। এমন সমস্যায় অনেকেই ভুগছেন। এমনকি ৩০-এর কোঠা পেরোনোর আগেই মাথায় উঁকি দিচ্ছে পাকা চুল। এই পাকা চুল ঢাকতে গিয়ে অনেকেই চুলের ট্রিটমেন্ট করিয়ে থাকেন। কেউ হেয়ার কালারের সাহায্য নেন, আবার কেউ রুট টাচ-আপ করান। আবার অনেকে মনে করেন, একটা পাকা চুল ছিঁড়লে, আরও সমস্যা বাড়বে। তাই সে দিকে নজরই দেন না। হেয়ার কালার করিয়ে পাকা চুলের সমস্যাকে প্রতিরোধ করা যায় না। বরং, এতে সমস্যা আরও বাড়ে। পাকা চুলের সমস্যাকে দূর করতে হেঁশেলে থাকা আনাজপাতিই যথেষ্ট। এমন বেশ কিছু শাকসবজি রয়েছে, যা পাকা চুলের সমস্যা দূর করে। সেগুলো কী-কী দেখে নিন।
ঝিঙে: ঝিঙে পোস্ত ছাড়া এই আনাজের খুব বেশি কদর নেই। আর এই সবজি শুকিয়ে গেলে কাজে আসে সাবান মাখার জালি হিসেবে। কিন্তু এই ঝিঙে দিয়ে ঢেকে ফেলতে পারেন সমস্ত পাকা চুল। ঝিঙের তেল বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এক শিশি নারকেল তেল নিন। এতে তাজা ঝিঙে টুকরো টুকরো করে কেটে মিশিয়ে দিন। তারপর ওই তেলের শিশি রোদে দেখে দিন। পর পর ৩-৪ দিন রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে ঝিঙের তেল। শ্যাম্পু করার ঘণ্টাখানেক আগে এই তেল চুলে মালিশ করুন। এতেই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
কারি পাতা: চুলের সব সমস্যার সমাধান রয়েছে কারি পাতার কাছে। চুলকে কালো করা থেকে শুরু করে চুল পড়া কমাতে সহায়ক কারি পাতা। নারকেল তেলের সঙ্গে কারি পাতা মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই তেল চুলে নিয়মিত মালিশ করুন। এতে চুলের হাজারো সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। যার মধ্যে পাকা চুলের সমস্যাও রয়েছে।
পেঁয়াজ: চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পেঁয়াজের রসের জুড়ি মেলা ভার। পাকা চুলের সমস্যা থেকেও রেহাই দিতে পারে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের রসের বদলে পেঁয়াজ বাটা ব্যবহার করুন। চুলের পরিমাণ অনুযায়ী পেঁয়াজ বেটে নিন। এটি স্ক্যাল্প ও চুলে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একদিন করে পেঁয়াজ বাটা ব্যবহার করলেই আপনি পাকা চুলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।