ত্বক এবং চুলের পরিচর্যার নিয়মে প্রয়োজন পরিবর্তন, কী কী লক্ষণ দেখলে বুঝবেন?

Jan 03, 2021 | 1:38 PM

আচমকাই যদি দেখেন ত্বক মারাত্মক শুষ্ক কিংবা তেলতেলে হয়ে যাচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনার স্কিন কেয়ার ট্রিটমেন্ট বা বিউটি রেজিমি-র পরিবর্তন প্রয়োজন।

ত্বক এবং চুলের পরিচর্যার নিয়মে প্রয়োজন পরিবর্তন, কী কী লক্ষণ দেখলে বুঝবেন?
এখন শীতের মরশুম। আবহাওয়া এমনিতেই শুষ্ক এবং রুক্ষ। এই অবস্থায় ত্বক এবং চুলের যত্ন করা খুবই প্রয়োজন।

Follow Us

নতুন বছরে অনেকেই অনেক রেসোলিউশন নিয়েছেন ইতিমধ্যেই। গতবছর করোনার দাপট দেখার পর সকলেই এখন চান সুস্থ-সবল থাকতে। তবে শরীর-স্বাস্থ্যের পাশাপাশি নজর দিতে হবে নিজের ত্বক আর চুলের প্রতিও। এমনিতেই লকডাউন, ওয়ার্ক ফ্রম হোম, নিউ নরমাল এইসবের প্রভাবে আমজনতার লাইফ সাইকেলে প্রচুর পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে অনেকের ক্ষেত্রেই চুল এবং ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে এখন শীতের মরশুম। এবছর ঠান্ডা পড়েওছে জাঁকিয়ে। আবহাওয়া এমনিতেই শুষ্ক এবং রুক্ষ। এই অবস্থায় ত্বক এবং চুলের যত্ন করা খুবই প্রয়োজন।

কীভাবে বুঝবেন যে আপনার ত্বকের পরিচর্যার নিয়মে পরিবর্তন আনতে হবে?

১। আচমকাই যদি দেখেন ত্বক মারাত্মক শুষ্ক কিংবা তেলতেলে হয়ে যাচ্ছে তাহলে বুঝবেন আপনার স্কিন কেয়ার ট্রিটমেন্ট বা বিউটি রেজিমি-র পরিবর্তন প্রয়োজন। হয়তো যেভাবে আপনি ত্বকের পরিচর্যা করছেন এখন সেই পদ্ধতি আর আপনার ত্বকের ক্ষেত্রে কাজ দিচ্ছে না।

২। বলিরেখা দিতে পারে বয়সের আগেই। করোনা পরিস্থিতিতে যাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোমের জাঁতাকলে পড়েছেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগেরই একটা অভিযোগ রয়েছে যে অনেক বেশি সময় কাজ করতে হয়েছে। রাত জাগার পরিমাণ বেড়েছে। তাই ডার্ক সার্কেলের সমস্যাও বেড়েছে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে। চোখের তলায় কালি পড়লে এড়িয়ে না গিয়ে যত্ন নিন।

৩। যদি দেখেন মুখে র‍্যাশ বা ব্রন আচমকাই বেড়ে গিয়েছে, কিংবা যেকোনও ক্রিম বা ময়শ্চারাইজার কিংবা লোশন লাগালে মুখে ইরিটেশন বা অস্বস্তি হচ্ছে অথবা জ্বালা করছে তাহলে অতি অবশ্যই ডার্মাটোলজিস্ট বা বিউটিশিয়ানের পরামর্শ নিতে হবে।

চুলের সমস্যা হলে দেখা দেবে কী কী লক্ষণ?

১। হঠাৎ করেই চুল পড়ার পরিমাণ বাড়তে পারে।

২। শীতকালে এমনিতেও স্ক্যাল্প শুষ্ক থাকার কারণে খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। তবে খুব বেশি পরিমাণে মাথায় খুশকি হলে সেদিকে নজর দিন।

৩। চুল রুক্ষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে ফেলতে পারে। আর চুল বেশি রুক্ষ-শুষ্ক হলে জট পাকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৪। স্ক্যাল্পে বিভিন্ন ধরনের ইরিটেশন বা অস্বস্তি (চুলকানি, জ্বালা) হতে পারে।

৫। চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে চুলের লেংথ (লম্বা অংশ) দেখলেও ফারাক বোঝা যাবে।

এইসব লক্ষণ দেখা দিলেই চুল এবং ত্বকের ভাল ভাবে পরিচর্যা শুরু করুন। আগের নিয়ম বাদ দিতে নতুন নিয়মে রূপচর্চা করুন। কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট যত কম ব্যবহার করবেন ততই মঙ্গল। রূপচর্চার ক্ষেত্রে মেনে চলুন ঘরোয়া পদ্ধতি, টোটকা, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের নিয়ম। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়েই চুল এবং ত্বক যত্ন নেওয়ার চেষ্টা করুন।

Next Article