হেঁশেলের একগুচ্ছ কাজকে সহজ করে দেয় মাইক্রোওয়েভ। সকালের খাবার গরম করার হোক বা চটজলদি ডাল সেদ্ধ করার হোক, মিনিটের মধ্যে কাজকে সহজ করে দেয় মাইক্রোওয়েভ। খাবার গরম করার ক্ষেত্রে অনেক সময় বাঁচায় মাইক্রোওয়েভ। কিন্তু খাবার বানানো বা খাবার গরম ছাড়াও মাইক্রোওয়েভে আরও অনেক কাজ করতে পারে। নিত্যদিনের এমন অনেক কাজ রয়েছে, যা আপনি অতি সহজেই মাইক্রোওয়েভের মাধ্যমে করতে পারবেন। কী-কী সেই কাজ, চলুন দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
১) পেঁয়াজ কাটতে গেলে চোখের জল ফেলতে হয়। আবার যদি রান্নার পরিমাণ অনেক বেশি হয়, তাহলেও পেঁয়াজও বেশি কাটতে হয়। একটি সহজ টোটকা মানলে চোখের জল না ফেলেই পেঁয়াজ কাটতে পারেন। পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে দু’টুকরো করে নিন। এবার ৩০ সেকেন্ডের জন্য পেঁয়াজ মাইক্রোওয়েভে গরম করে নিন। এরপর পেঁয়াজ কাটুন। এতে কাঁদতে হবে না।
২) পেঁয়াজ কাটার মতোই রসুনের খোসা ছাড়ানোর কাজকেও সহজ করে দিতে পারে মাইক্রোওয়েভ। রসুনের খোসা ছাড়াতেও বেশি ঝক্কি পোহাতে হয়। রসুনের কোয়াগুলো নিয়ে মাইক্রোওয়েভে ৩০ সেকেন্ড গরম করে নিন। এরপর দেখবেন, সহজেই ছেড়ে আসছে রসুনের খোসা।
৩) লেবুর রস নিংড়ে বার করতে পারেন না? একটি বাটতে দু’টুকরো লেবু নিন। এবার সেটা মাইক্রোওয়েভে দিয়ে ৩০ সেকেন্ডের জন্য ঘুরিয়ে নিন। এরপর লেবুর রস নিংড়ানোর চেষ্টা করুন। দেখবেন, সমস্ত রস সহজেই বেরিয়ে আসছে।
৪) বাসি রুটিকে তাজা করে তুলতে পারে মাইক্রোওয়েভ। বাসি রুটির উপর জলের ছেটা দিন। এরপর ওই রুটি ৩০ সেকেন্ডের জন্য মাইক্রোওয়েভে ঘুরিয়ে নিন। এরপর মনেই হবে না যে আপনি বাসি রুটি খাচ্ছেন।
৫) ড্রাই ফ্রুটস কেনার বদলে মাইক্রোওয়েভে বানিয়ে নিতে পারেন। আঙুর, ডুমুর, আমের মতো ফল টুকরো টুকরো করে কেটে নিন। এবার এই ফলগুলো মাইক্রোওয়েভে কয়েক মিনিটের জন্য ঘুরিয়ে নিন। ফলের আর্দ্রতা সম্পূর্ণরূপে শেষ হয়ে গেলে বুঝবেন আপনার ড্রাই ফ্রুটস তৈরি।
৬) অনেক সময় ঝুরি আলু ভাজা, চিপস, চানাচুর, চিঁড়েভাজা নিঙিয়ে যায়। নরম হয়ে যায়। এসব খাবার ৩০ মিনিটের জন্য মাইক্রোওয়েভে ঘুরিয়ে নিলেই আবার মুচমুচে হয়ে যাবে। নিঙিয়ে যাওয়া ফিশ ফ্রাই বা কাটলেটের ক্ষেত্রেও এই টোটকা মানতে পারেন।