AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Taler Bora Recipe: এই টিপস মেনে রাঁধুন তালের বড়া, ২ দিন পরেও থাকবে তুলোর মতো নরম

Taler Bora Recipe: সমস্যা একটাই ঠিক করে বানাতে না পারলে শক্ত হয়ে যায় তালের বড়া। তখন সেই বড়া খেতে ভাল লাগে না। কিন্তু কী ভাবে বানালে ২ দিন পরেও নরম তুলতুলে থাকবে তালের বড়া? রইল সেই রেসিপি।

Taler Bora Recipe: এই টিপস মেনে রাঁধুন তালের বড়া, ২ দিন পরেও থাকবে তুলোর মতো নরম
| Updated on: Aug 15, 2025 | 12:21 PM
Share

কথায় বলে ‘তালের নাড়ু খেয়ে নন্দ নাচিতে লাগিল’। তালের বড়া ছাড়া জন্মাষ্টমী ভাবাই যায় না। তালের খোসা ছাড়িয়ে তা থেকে রস বার করে বানানো হয় তালের বড়া। এই পদ ছাড়া অসম্পূর্ণ জন্মাষ্টমীর পুজোও। কিন্তু সমস্যা একটাই ঠিক করে বানাতে না পারলে শক্ত হয়ে যায় তালের বড়া। তখন সেই বড়া খেতে ভাল লাগে না। কিন্তু কী ভাবে বানালে ২ দিন পরেও নরম তুলতুলে থাকবে তালের বড়া? রইল সেই রেসিপি।

১। তালের বড়ার মূল প্রাণ হচ্ছে তাল। পুরোপুরি পাকা, মিষ্টি আর সুঘ্রাণযুক্ত তাল ব্যবহার করলে বড়ার স্বাদ ও নরমভাব দুটোই বাড়ে। কাঁচা বা আধাপাকা তাল ব্যবহার করলে বড়া শক্ত হয়ে যায়, কষাভাব থেকে যায়।

২। তালের খোসা ছাড়িয়ে শাঁস বের করে নরমভাবে মেখে নিন। তারপর কাপড় বা ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিন, যাতে আঁশ বাদ যায়। এই ছাঁকা রস বড়াকে মসৃণ আর নরম রাখতে সাহায্য করে।

রেসিপি –

তালের রস – ১ কাপ

গুড় বা চিনি – ৩/৪ কাপ (তালের মিষ্টি অনুযায়ী পরিমাণ ঠিক করে নিন)

গমের আটা বা চালের গুঁড়ো – ১/২ কাপ (চালের গুঁড়ো দিলে হালকা ক্রিস্পি হবে, গমের আটা দিলে বেশি নরম হবে)

নারকেল কুরানো – ১/৪ কাপ (স্বাদ ও নরমভাবের জন্য)

এক চিমটি লবণ – স্বাদ ভারসাম্যের জন্য

সোডা বা বেকিং পাউডার – অল্প (নরমভাব আনতে)

ঘি – ১ চা চামচ (মিশ্রণে দিলে বড়া তুলতুলে হয়)

প্রণালী –

সব উপকরণ ভালভাবে মিশিয়ে মসৃণ ব্যাটার তৈরি করুন। মিশ্রণ খুব ঘন হলে বড়া শক্ত হবে, আর খুব পাতলা হলে ভাজার সময় ছড়িয়ে যাবে। তাই মাঝারি ঘনত্ব রাখুন।

মিশ্রণ তৈরি করার পর অন্তত ৩০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন। এতে আটা বা চালের গুঁড়ো ফুলে উঠবে। বেকিং পাউডারের কাজ শুরু হবে, ফলে বড়া ফুলবেও আবার নরমও হবে।

ভাজার জন্য মাঝারি আঁচে তেল গরম করুন। তেল অতিরিক্ত গরম হলে বড়ার বাইরের অংশ দ্রুত লাল হয়ে ভেতর কাঁচা থেকে যাবে, আর তেল কম গরম হলে বড়া বেশি তেল শুষে নেবে, শক্ত হবে।

এক চামচ করে মিশ্রণ তেলে ছাড়ুন এবং হালকা নাড়ুন যাতে আটকে না যায়। আঁচ মাঝারি থেকে কম রাখুন। ধীরে ভাজলে ভেতর পর্যন্ত সমানভাবে সেদ্ধ হবে এবং নরম থাকবে, বাইরে হালকা খাস্তাও হবে।

বড়া তেল থেকে তুলেই চাপ দেবেন না, এতে ভেতরের বাষ্প বেরিয়ে গিয়ে শক্ত হয়ে যাবে। কিচেন টিস্যুতে রেখে স্বাভাবিকভাবে ঠান্ডা হতে দিন।

মিশ্রণে দুধের বদলে নারকেলের দুধ ব্যবহার করলে স্বাদ বাড়ে ও নরমভাব আরও বেশি হয়। গুড় গলানোর সময় সামান্য আদার রস দিলে হজমে সাহায্য করে ও আলাদা সুবাস আনে।