বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের জেল্লা কমতে থাকবে। এটাই স্বাভাবিক। তারই সঙ্গে ঝুলে পড়ে চামড়াও। চোখের তলায় কালি বা কালো দাগ ছোপ পড়াও স্বাভাবিক বিষয়। তবে যদি বয়সের আগেই সেই ছাপ পড়তে শুরু করে ত্বকের উপরে? যদি বলিরেখা দেখা দেয়? কী করবেন? জীবনযাপনে অনিয়ম, খাওয়াদাওয়ার সমস্যা, দূষণ এই সবই কিন্তু অকালে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার কারণ। তাই ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে হলে প্রয়োজন ত্বকের পরিচর্যার। তবে কয়েকটি এসেনশিয়াল অয়েল আছে যা কিন্তু এই কাজ আরও সহজ করে তুলবে। এই তেলের গুণে আটকাবে বলিরেখা।
১) ল্যাভেন্ডার অয়েল
মুখে নিয়মিত ল্যাভেন্ডার অয়েল মাখলে ত্বক টান টান হয়। নিয়মিত মাখতে পারলে বলিরেখার সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। তবে এই ধরনের এসেনসিয়াল অয়েল সরাসরি ত্বকে মাখা যায় না। নারকেল, কাঠবাদামের তেল কিংবা ক্রিমের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা এসেনসিয়াল অয়েল মিশিয়ে মাখা যেতে পারে।
২) টি ট্রি অয়েল
অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান রয়েছে এই অয়েলের মধ্যে। ত্বক টান টান রাখতেও এই অয়েল বেশ কাজের। টোনার হিসাবে এই অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। পরিষ্কার একটি স্প্রে বোতলে অর্ধেকের বেশি গোলাপ জল ভরে নিন। তার মধ্যে দিন ২ টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার এবং ৮ থেকে ১০ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল। ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে টোনার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ত্বক টান টান করতে সাহায্য করে বিশেষ এই টোনার।
৩) রোজমেরি অয়েল
ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা নিরাময় করে। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও এই অয়েলের জুড়ি মেলা ভার। বয়সের ভারে স্কিন স্যাগিং অর্থাৎ চামড়া ঝুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সেই সমস্যাকে অনায়াসে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে রোজমেরি অয়েল। কাঠবাদাম বা নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা রোজ়মেরি অয়েল মিশিয়ে ফেলুন। রোজ রাতে ঘুমোনোর আগে এই তেল মাখা অভ্যাস করুন। বলিরেখার সমস্যা কমবে।