কর্মসূত্রে আমি ও আমার স্বামী দু’জনেই বাড়ির বাইরে থাকি। অফিস সামলে রোজকার বাড়ির কাজ নিজেদেরই করতে হয়। কোনও সহকারী নেই বাড়িতে। চোষ্টা করি নিজেরাই ম্যানেজ করে নিতে। রোজকার ঘরের কাজ, রান্না, বাজার সবকিছু আমাকে একা হাতেই সামলাতে হয়। খুব ক্লান্ত হয়ে বাড়িতে ফেরার পর কেউ একগ্লাস জল বা এককাপ চা-ও এগিয়ে দেয় না। রান্নার জোগাড় নিজেকেই করতে হয়। স্বামী অফিস থেকে বাড়িতে ফিরে নিজের মতই থাকেন। কোনও কাজে কোনও রকম সাহায্য করে না। অনেকবার অনুরোধ করেছি যে বাসন মেজে নিতে, প্রতিবারই প্রচন্ড ঝামেলা হয়েছে। দিনের পর দিন একা হাতে সব কাজ করে আমি ক্লান্ত। আমার শাশুড়িও কখনও তাঁর ছেলেকে উৎসাহ দেন না বাড়ির কাজ করতে। এমনকী ওনারও মনে হয়, কেন ছেলেরা বাড়ির কাজ করবে। কীভাবে স্বামীকে বোঝাব বা কী করে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসব, দয়া করে যদি কোনও সুপরামর্শ দেন….
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
প্রথমেই বলি, সত্যিই দিনের পর দিন এসব মুখ বুঝে মেনে নেওয়া অত্যন্ত বিরক্তিকর। একটা সময় পর সকলেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। কোনও একটা সম্পর্কে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং শ্রদ্ধা থাকা খুবই প্রয়োজন। আপনি যেমনই কাজ করেন না কেন সেই কাজে তাঁর পূর্ণ সমর্থন এবং শ্রদ্ধা থাকা প্রয়োজন। আর তাই এবার কড়া হাতে আপনাকে সবটা মোকাবিলা করতে হবে। যে বাড়িতে আপনারা থাকেন সেই বাড়ি যখন দু’জনের তখন সব দায়িত্বভারও দু’জনকেই নিতে হবে। বাজার করা, রান্না, বাড়ির সব কাজ এসব নিজেরা ভাগ করে নিন।
যে যার কাজ তাকে নিজেকেই করতে হবে। দু’জনে যখন একই খাবার খাবেন তখন দু’জনকেই সেই দায়ভার নিতে হবে। কাজের ব্যস্ততার কারণে হয়ত একদিন আপনি সব কাজ করলেন তবে তাই বলে অভ্যাসে পরিণত করবেন না। প্রয়োজনে কোনও ম্যারেজ কাউন্সিলরের সাহায্যও নিতে পারেন। দয়া করে আপনাদের সম্পর্কে বাড়ির কোনও আত্মীয়কে নিয়ে আসবেন না। সে নিজের মা হোক বা শাশুড়ি। প্রথমে নিজেদের ঝামেলা নিজেরাই মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করুন, একান্ত না পারলে তখনই মা-বাবার সঙ্গে কথা বলুন। তবে দিনের পর দিন এসব অন্যায় আবদার মেনে নেবেন না।