Uttarakhand: মেঘে ঘেরা পর্বতের চূড়ায় ২০০ বছরের প্রাচীন কার্তিক মন্দির এখন হটস্পট! পৌঁছাবেন কীভাবে?

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Oct 20, 2022 | 7:10 AM

Kartik Swami Temple: পুরাণ অনুসারে, যে পর্বতের উপর কার্তিক স্বামী টেম্পল তৈরি করা হয়েছে, সেই পর্বতের আগে নাম ছিল ক্রোঞ্চ পর্বত। ক্রোঞ্চ পর্বতেই রয়েছে কার্তিকদেবের অস্থি!

Uttarakhand: মেঘে ঘেরা পর্বতের চূড়ায় ২০০ বছরের প্রাচীন কার্তিক মন্দির এখন হটস্পট! পৌঁছাবেন কীভাবে?

Follow Us

অনেকেই দুর্গম পাবর্ত্য অঞ্চলে ঘুরতে যান। পর্বতের চূড়ায় পৌঁছে বহু মন্দিরে ভক্তি ভরে মাথা ঠেকিয়েও আসেন। তবে সম্ভবত উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার বিখ্যাত কার্তিক স্বামী মন্দির সম্পর্কে খুব স্বল্প লোকেই খবর রাখেন। জানলে অবাক হবেন এই মন্দিরের বয়স প্রায় ২০০ বছরেরও বেশি। দেশের মানুষের মধ্যে এই ঐতিহাসিক মন্দিরের প্রচার প্রসারের উদ্দেশ্য উত্তরাখণ্ডের পর্যটন বিভাগের তরফে মন্দিরটির উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মন্দিরের উন্নয়নের পিছনে সারা দেশের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতের পর্যটকদের আকর্ষণ করাও অন্যতম কারণ বলে জানা গিয়েছে।

মন্দিরের গুরুত্ব

এই মন্দিরের গভীর ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে। কারণ উত্তরাখণ্ডে এই একটিই ধর্মীয় স্থান রয়েছে যেখানে কার্তিকদেবের পূজা করা হয়। পুরাণ অনুসারে, মহাদেব এবং দেবী পার্বতীয় জ্যেষ্ঠ পুত্র কার্তিকদেব। দক্ষিণভারতে কার্তিকদেবকে স্কন্দ এবং মুরুগান নামে পুজো করা হয়।

পুরাণ অনুসারে, যে পর্বতের উপর কার্তিক স্বামী টেম্পল তৈরি করা হয়েছে, সেই পর্বতের আগে নাম ছিল ক্রোঞ্চ পর্বত। ক্রোঞ্চ পর্বতেই রয়েছে কার্তিকদেবের অস্থি! কীভাবে কার্তিকদেবের অস্থি এল পর্বতের চূড়ায়? জানার আগে বুঝে নেওয়া যাক, কীভাবে এই পবিত্র স্থানে পৌঁছতে হবে।
অবস্থান

রুদ্রপ্রয়াগ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে এই মন্দির। পর্বতের এই চূড়ায় পৌঁছতে হলে কনকচৌরি থেকে ভক্তদের ৩ কিলোমিটার ট্রেক করে আসতে হবে। ট্রেক-এর পথ সহজ নয়, তবে নিঃসন্দেহে আনন্দদায়ক এবং মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পূর্ণ পথ প্রতিটি ঘর্মবিন্দুর প্রতি সুবিচার করবে তাতে সন্দেহ নেই।

পুরাণ—

কথিত আছে, জ্যেষ্ঠ পুত্র কার্তিক নাকি কনিষ্ঠপুত্র গণেশ— কে বেশি তার বাবা-মা’কে ভালোবাসেন তা পরীক্ষা করার জন্য একবার পিতা মহাদেব এবং মাতা পার্বতী ছোট্ট একটি পরীক্ষা নিয়েছিলেন। তাঁরা সন্তানদের জানিয়েছিলেন, যে পুত্র আগে ব্রহ্মাণ্ড প্রদক্ষিণ করে আগে তাঁদের কাছে পৌঁছতে পারবে, সেই পুত্রই তাঁদের বেশি ভালোবাসে বলে প্রমাণিত হবে। শোনা মাত্রা কার্তিকদেব তাঁর ময়ূরের পিঠে চড়ে ব্রহ্মাণ্ড প্রদক্ষিণে বেরিয়ে পড়েন। অন্যদিকে গণেশদেব তাঁর পিতা মাতাকে প্রদক্ষিণ করে জোড় হস্তে বলেন, তাঁর কাছে পিতা-মাতাই ব্রহ্মাণ্ডের স্বরূপ! একথা শুনে পিতা মহাদেব ও মাতা পার্বতী অত্যন্ত প্রসন্ন হন। কিছু সময়ের মধ্যে কার্তিকদেবও ব্রহ্মাণ্ড প্রদক্ষিণ করে এসে ফিরে আসেন ও দেখেন পিতা-মাতার ক্রোড় অধিকার করে বসে আছেন গণেশ। এরপর গণেশদেবের বুদ্ধির পরিচয় পেয়ে তিনি পিতা মহাদেব ও মাতা পার্বতীর প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠেন। তাঁর মনে হয়, পিতা-মাতা কনিষ্ঠ পুত্রের প্রতি বেশিই স্নেহশীল। তিনি রাগের তেজ শান্ত করতে ক্রোঞ্চ পর্বতের চূড়ায় বসে কঠোর তপস্যা শুরু করেন দেহের মাংস ও হাড় পরিত্যাগ করেন ও পিতামাতার প্রতি তাঁর ভক্তির পরিচয় দেন। ওই তেজদীপ্ত স্থানেই পরবর্তীকালে তৈরি হয় মন্দির।

পর্যটন

উত্তরাখণ্ডের পর্যটনমন্ত্রী, সতপল মহারাজ জানান, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্ণাটকের পর্যটকদের আকর্ষণ করতেই এই মন্দিরের উন্নয়নে মন দিয়েছে উত্তরাখণ্ড ট্যুরিজম ডিপার্টমেন্ট।

ওই রাজ্যের ট্যুরিজম বিভাগের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর পুনম চন্দ জানিয়েছেন, তাঁরা কার্তিক স্বামী মন্দিরের উন্নয়নে বিশেষ নজর দিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য কিছু জায়গারও উন্নতি করা হচ্ছে আগামী শীতে পর্যটক আকর্ষণের উদ্দেশ্যে।

Next Article