শত অপেক্ষার পর বঙ্গে শীত। এই মরশুমে বাঙালি চড়ুইভাতির প্ল্যান করবে না, এমন হয় না। বরং, শীতের মিঠে রোদ গায়ে মেখে আর কমলালেবুর খোসা ছাড়াতে-ছাড়াতে জমে ওঠে গল্প। তার সঙ্গে কফি-পকোড়া রয়েছে। রয়েছে সবজি দিয়ে ডাল আর মাংস কষা। কখনও নদীর ধারে বা কখনও বাগান বাড়িতে। এভাবেই বাঙালি খুঁজে নেয় পিকনিক স্পট। এখনও যদি এ বছরের পিকনিক স্পট খুঁজে না পান, রইল ৫টি জায়গার খোঁজ। কলকাতার খুব কাছেই একটা ফুরফুরে দিন কাটাতে পারবেন এই ৫ জায়গায়।
গাদিয়াড়া: কলকাতা থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে গাদিয়াড়া। হাওড়া জেলার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। রূপনারায়ণ, ভাগীরথী এবং হুগলি নদীর সঙ্গমস্থল গাদিয়াড়া। শীতের মরশুমে নদীর ধারে বসে পিকনিকের আনন্দ নিতে পারবেন এখানে। গাড়িতে মাত্র দেড় ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাবেন এখানে। চড়ুইভাতির পাশাপাশি গাদিয়াড়ায় রাত কাটানোরও ব্যবস্থা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনাকে বুক করতে হবে রাজ্য সরকারের পর্যটন উন্নয়ন নিগমের রূপনারায়ণ ট্যুরিস্ট লজ।
মাইথন: পিকনিক হোক বা দু’দিনের উইকএন্ড ট্রিপ, দামোদরের তীরে সময় কাটাতে চাইলে চলে আসুন মাইথন। কলকাতা থেকে প্রায় ৫ ঘণ্টার পথ মাইথন। কিন্তু আসানসোল থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটারের রাস্তা এই পিকনিক স্পট। পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তে বরাকর নদীর উপর ১৫৭১২ ফুট দীর্ঘ ও ১৬৫ ফুট উঁচু বাঁধ এবং ৬৫ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে দেখার মতো জলাধার। আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ছোট ছোট পাহাড়। এই জলাধারে রয়েছে নৌকাবিহারেরও সুযোগ। এছাড়া খুব কাছেই রয়েছে ৫০০ বছরের পুরনো কল্যাণেশ্বরী মন্দির। এখানেও রাত কাটাতে পারেন রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন নিগমের মাইথন ট্যুরিস্ট লজে।
মাছরাঙ্গা দ্বীপ: বাঙালির অন্যতম জনপ্রিয় পিকনিক স্পট টাকি। শীতের রবিবারগুলো প্রচুর মানুষ ভিড় করে টাকিতে। এই টাকি থেকে আরও কিছু দূর গেলে রয়েছে মাছরাঙ্গা দ্বীপ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ইছামতি ও ভাসা নদীর ঠিক মাঝখানে চড়ুতভাতি করতে পারবেন মাছরাঙ্গা দ্বীপে। কলকাতা থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরত্বে এই মাছরাঙ্গা দ্বীপে মানুষের আনাগোনা কম। যাঁরা প্রকৃতির কাছে থাকতে ভালবাসেন, পক্ষীপ্রেমী তাঁরা এই শীতে ঘুরে যেতে পারেন মাছরাঙ্গা দ্বীপ থেকে। এই দ্বীপে বসে বাংলাদেশি জেলেদের মাছ ধরাও দেখতে পাবেন।