মার্চেই যে পরিমাণ গরম পড়েছে, আগামী দিন অবস্থা আরও অবনতি হতে থাকে। এই সুযোগে পাহাড় থেকে ঘুরে আসুন। বাড়ির কাছে পাহাড় থাকতে কেন দূরে যাওয়ার পরিকল্পনা করবেন। কম খরচে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ঘুরে নিতে পারেন সিকিমের বিভিন্ন জায়গা। এক রাতের মধ্যে পৌঁছে যাবেন সেখানে। আর খরচ মেরেকেটে ৫-৬ হাজারের বেশি হবে না। আর মার্চ-এপ্রিল যাওয়ার সিকিম যাওয়ার মজা লুকিয়ে রডোড্রেনডনে। এই সময় সিকিমের আনাচে-কানাচে দেখা যায় লাল রডোড্রেনডন। শুধু আপনাকে বেছে নিতে হবে সঠিক ডেস্টিনেশন। রইল ৩টি স্বল্প পরিচিত ডেস্টিনেশনের খোঁজ।
সামাতার- দক্ষিণ সিকিমের কোলে রঙ্গিত নদীর তীরে অবস্থিত ছোট্ট পর্যটন কেন্দ্র সামাতার। উচ্চতা মাত্র ১,৪৬০ ফুট। সুতরাং, মার্চ এখানে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পাবেন না। জোরথাং ছাড়িয়ে ৬ কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাবেন সামাতার। যেখান থেকে রঙ্গিত নদী দক্ষিণ সিকিমে প্রবেশ করছে, সেখানে একটু ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। এটা পশ্চিম আর দক্ষিণ সিকিমের একমাত্র যোগাযোগের পথ। এর পাশেই অবস্থিত সামাতার। চারদিক সবুজ ঘন জঙ্গল আর রঙ্গিতের অবিরাম বয়ে চলা—সব মিলিয়ে সামাতারের শান্ত পরিবেশ আপনার মন কেড়ে নিতে বাধ্য। এখানে রাত্রিযাপনের জন্য নদীর তীরে রিসর্ট রয়েছে। সেখানে থাকা খাওয়া নিয়ে জনপ্রতি প্রতিদিন ২৫০০ টাকা খরচ হতে পারে।
রিনচেনপং- যদি কেউ পশ্চিম সিকিমের ভক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে ঘুরে নিন রিনচেনপং। ৫,৫৭৬ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই পাহাড়ি জনপদ পর্যটকদের খুব বেশি পরিচিত নয়। পেলিং থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত রিনচেনপং। রিনচেনপংকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউ পয়েন্ট বললেও ভুল হবে না। ওক, পাইন দেবদারুতে ঘেরা রিনচেনপং থেকে স্পষ্ট দেখা যায় বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা। রিনচেনপং থেকে ঘুরে নিতে পারেন রিশম মনেস্ট্রি, পয়সন লেক, প্রেমায়েন্সি মনাস্ট্রি, রিম্বি জলপ্রপাত, দরাপ ভিলেজ, চাঙ্গে ওয়াটার ফলস্, সিংসোর ব্রিজ, খেচিপেরি লেক, ছায়াতাল লেক, হি ওয়াটার গার্ডেন ইত্যাদি। এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে, যেখানে থাকা খাওয়া নিয়ে জনপ্রতি প্রতিদিন ২,০০০ টাকা খরচ হয়ে পারে।
আরিতার- জ়ুলুকের ফ্যান নয় এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া কঠিন। এই সিল্ক রুট যাওয়ার প্ল্যান করলে এক রাত আরিতারে কাটাতে পারেন। আরিতার হল পুরনো সিল্ক রুটের একটি অঙ্গ। ছোট্ট জনপদ একদমই নয়। তবু ৪,৯১৫ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত আরিতার নির্জন এবং শান্ত। এখানে রয়েছে লামপোখরি নামের একটি হ্রদ, যাকে কেন্দ্র করে পার্ক গড়ে উঠেছে। আর রয়েছে একটি প্রাচীন গুম্ফা। গ্যাংটক থেকে আরিতারের দূরত্ব ১৩৫ কিলোমিটার। কিন্তু রঙ্গোলি বাজার দিয়ে গেলে আরিতারের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। আরিতারে রাত কাটানোর জন্য একাধিক হোমস্টের সুবিধা রয়েছে। এখানে থাকা-খাওয়া নিয়ে জনপ্রতি ১৮০০ টাকা খরচ।