Sunday Special Trip: প্রকৃতির কোলে রবিবারের ছুটি কাটাতে চান? জয়পুরের জঙ্গল রয়েছে আপনার অপেক্ষায়

Joypur Forest: বাঁকুড়া জেলার কথা বললেই মনে পড়ে টেরাকোটার মন্দির, শুশুনিয়া ইত্যাদি। খুব সহজেই তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় জয়পুরের জঙ্গল। তাও আবার একদিনের সফরে... হ্যাঁ সম্ভব।

Sunday Special Trip: প্রকৃতির কোলে রবিবারের ছুটি কাটাতে চান? জয়পুরের জঙ্গল রয়েছে আপনার অপেক্ষায়
জয়পুরের জঙ্গল...Image Credit source: istockphoto.com

| Edited By: megha

May 15, 2022 | 11:39 AM

সারা সপ্তাহ ধরে কাজের যা ধকল গিয়েছে তাতে ছুটির দিনে মনে হয় টেনে লম্বা ঘুম দিই। তবু সপ্তাহে তো একটাই রবিবার। কাছের মানুষের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য এখন বরাদ্দ এই একটা দিন। সেটাও বাড়িতে শুয়ে-বসে নষ্ট করব! কিন্তু এই ভ্যাপসা গরমে কোথাই (Short Trip) বা যাওয়া যায়! শহরের পার্কগুলোতেও এখন বেশ ভিড়। বিকেলে গঙ্গার ঘাটও খালি নেই। তাহলে যাবেন কোথায়? শহুরে কোলাহল ছাড়িয়ে, নিরিবিল প্রান্তরে দু’ দণ্ড স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে একদিনের সফরে ঘুরে আসুন জয়পুরের জঙ্গল থেকে।

বাঁকুড়া জেলার কথা বললেই মনে পড়ে টেরাকোটার মন্দির, শুশুনিয়া ইত্যাদি। খুব সহজেই তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় জয়পুরের জঙ্গল। তাও আবার একদিনের সফরে… হ্যাঁ সম্ভব। যাঁরা ছুটির দিনে লং ড্রাইভে যাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন তাঁদের জন্য আদর্শ হল এই রুট। ডানকুনি থেকে আরামবাগ হয়ে ডান দিকের রাস্তা ধরে সোজা চলে যান বাঁকুড়া। বেশ কিছুটার যাওয়া পরই চোখে পড়বে জয়পুরের জঙ্গল। কলকাতা থেকে জয়পুর জঙ্গলের দূরত্ব ১২৯ কিলোমিটার। রাস্তা ভাল হওয়ার কারণে খুব বেশি হলেও সময় লাগবে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা।

দু’পা সারি ঘন জঙ্গল। শাল, সেগুন, বহেড়া, মহুয়া এক সঙ্গে মিলে মিশে রয়েছে। মাঝে মাঝে রোদ্দুর এসে উঁকি মারছে। তৈরি হচ্ছে আলোছায়ায় ঘেরা শামিয়ানা। রাস্তার পাশে যেখানে ইচ্ছা গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিন। ইচ্ছেমতো ছবি তুলুন, রিলস বানান। এখানে কেউ আটকাতে আসবে না আপনাকে। মনের মতো করে সময় কাটাতে পারবেন।

এই জঙ্গলের মধ্যে বাস হাতি, চিতল হরিণ, বুনো শেয়াল, বুনো শুয়োর, ময়ূর আর বহু নাম না জানা বহু পাখির। আরামবাগ হয়ে যে দিক দিয়ে জয়পুরের জঙ্গলে ঢুকছেন, এই দিকের রাস্তায় খুব একটা বন্য পশুর ভয় নেই। ভিতর দিকে ঘন জঙ্গল হলেও, লং ড্রাইভে গেলে কোনও অসুবিধায় পড়বেন না।

জয়পুর জঙ্গলের এই রাস্তা ধরে সোজা চলে গেলেই আপনি পৌঁছে যাবেন বিষ্ণুপুর। যদি বিষ্ণুপুরের টেরাকোটার মন্দির দেখার ইচ্ছা হয় তাহলে আপনাকে একটু সকাল সকাল রওনা দিতে হবে বাঁকুড়ার উদ্দেশ্যে। জয়পুর জঙ্গল থেকে বিষ্ণুপুরের দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার। দুপুরে খাওয়া-দাওয়ারও চিন্তা নেই। জয়পুরের জঙ্গল শুরুর আগে এবং বিষ্ণুপুরে বেশ কয়েকটি নামজাদা রিসর্ট ও হোটেল রয়েছে। সেখানেই সেরে নিতে পারেন রবিবারের লাঞ্চ।

একদিনের সফরে প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়ার জন্য এই রুটটিই সেরা। তবে আপনি চাইলে গভীরেও ঢুকতে পারেন জয়পুর জঙ্গলের। সেই ক্ষেত্রে এই জঙ্গলের থাকার জন্য রিসর্ট, লজ, হোটেলও রয়েছে। চাইলে বিষ্ণুপুরে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ট্যুরিস্ট লজেও থাকতে পারেন। গভীর জঙ্গলে ঢুকলে হাতি বা চিতল হরিণের দেখা মিলতেও পারে।