করোনার (COVID19 Pandemic) কারণ টানা ২ বছর বন্ধ ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের মৈত্রী বাস পরিষেবা (Maitri Bus Service)। তবে সম্প্রতি কোভিডের প্রকোপ নিম্নগামী হতেই ফের এই বাস পরিষেবা চালুর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কোভিড অতিমারির কারণে টানা ২ বছর স্থগিত রাখার পর ফের চালু হচ্ছে ঢাকা-আগরতলা-কলকাতা পরিষেবা (Agartala-Kolkata-Dhaka)। আগামী ১০ জুন থেকে এই পরিষেবা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এই গুরুত্বপূর্ণ বাস পরিষেবাটি প্রাথমিকভাবে ২৪ এপ্রিল থেকে ফের চালু করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু প্রযুক্তগত সমস্যার কারণে তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছি।
এই আন্তর্দাতিক বাস পরিষেবা পুনরা চালু করার প্রস্তাব জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রতিবেশী দেশে ভারতীয় হাইকমিশনকে চিঠি লিখেছেন রাষ্ট্রীয় পরিবহন বিভাগের প্রধান সচিব এলএইচ ডার্লং। পরিবহন দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, আগামী ১ জুন থেকে কৃষ্ণনগরের ত্রিপুরা রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের কাউন্টারে বাস পরিষেবার টিকিট পাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা পেতে হলে যাত্রীর সঙ্গে একটি বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা থাকা আবশ্যিক। অন্যদিকে, সীমান্তে বাস পরিষেবা চালু করার জন্য নয়াদিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিবের কাছে একটি পৃথক চিঠি লেখেন রাজ্যের অতিরিক্ত সচিব এস চৌধুরীও।
আগরতলা থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকা পর্য়ন্ত ভাড়া কত? ট্রাভেলিং ট্যাক্স-সহ মাথা পিছু যাত্রীর খরচ পড়বেন মাত্র ২.৩০০টাকা। অন্য দিকে, ত্রিপুরার রাজধানী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ভাড়া ১০০০টাকা বেশি। প্রতিবেশী রাজ্য অসমে লাগাতার ভূমিধসের কারণে ক্রমবর্ধমান বিমানভাড়া ও দূরপাল্লার ট্রেন স্থগিত করার ফলে এই আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবাটি যে বহু মানুষের উপকারে লাগবে তা বলাই বাহুল্য়। বাসটি আগরতলা থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকা হয়ে প্রায় ১৯ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। পাশাপাশি গুয়াহাটি হয়ে দুটি গন্তব্যের মধ্যে ট্রেন যাত্রায় সময় লাগে প্রায় ৩৫ ঘন্টা। প্রসঙ্গত অতিমারির প্রকোপে এই রুটের বাসের সুযোগ-সুবিধা ২০২০ সালের মার্চ মাসেই স্থগিত করে দেওয়া হয়েছিল।