ক্যালেন্ডার বলছে এখন সিকিমে বসন্ত। কিন্তু বাস্তব তার থেকে একদম আলাদা। উত্তর-পূর্ব সিকিমের বেশ কিছু এলাকা ঢেকেছে সাদা বরফের চাদরে। যদিও একই অবস্থা দার্জিলিঙের সান্দাকফুতেও। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে বাতিল করতে হচ্ছে নাথু লা, ইয়ামথাং ভ্রমণের প্ল্যান। বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান বাতিল হলে সকলেরই মন খারাপ হয়। তাই তুষারপাতের খবর শুনে সিকিম বাতিল করবেন না। বরং ডেস্টিনেশন বদলে ফেলুন। সিকিম না গিয়ে থাকুন পশ্চিমবঙ্গেই। আর ঘুরে নিন ঋষিখোলা।
ঋষি নদীর তীরে ছোট্ট পর্যটন কেন্দ্র। চারদিক ঘেরা সবুজ পাহাড়ে। রোদ ঝলমলে আকাশ হোক বা রাতের অন্ধকার, নদীর তীরে বসেই কেটে যাবে আপনার সারাদিন। এটাই তো বিশেষত্ব ঋষিখোলার। পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত ঋষিখোলা। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এখন ঋষি নদীই পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমকে আলাদা করেছে। আর এই নদীর তীরে গড়ে উঠেছে ঋষিখোলা।
কালিম্পং থেকে মাত্র ৩৬ কিলমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই ঋষিখোলা। উচ্চতাও খুব বেশি নয়। ২,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ায় ঋষিখোলায় জোরাল ঠান্ডা আপনি অনুভব করবেন না। নদীর নামেই জায়গার নাম। যদিও নেপালি ভাষায় ‘খোলা’র অর্থ নদী। নদীর তীরে রাত কাটানোর জন্য সেরা ডেস্টিনেশন ঋষিখোলা।
নদী এখানে খরস্রোতা নয়। অগভীর। তাই ঋষিতে পা ডুবিয়ে বসে থাকতে পারেন সারা দিন। চাইলে স্নানও করতে পারেন ঋষির জলে। খরস্রোতা না হলেও স্রোতে শব্দ শুনতে পাবেন সারাক্ষণ। আর তার সঙ্গে শোনা যাবে পাখিদের কলতান। নির্জনতাকে অনুভব করতেই অনেকেই ঋষিখোলাকে বেছে নেন। আবার কেউ কেউ ঋষিখোলা আসেন পরিবার, প্রিয়জনের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে। নদীর ধারে ফ্রায়ার ক্যাম্পও করতে পারেন আপনি।
ঋষিখোলা থেকে পেডং, আরিতার, সিলারিগাঁও, ইচ্ছেগাঁও খুব কাছেই অবস্থিত। এই জায়গাগুলো অনায়াসে আপনি ঘুরে নিতে পারবেন। এছাড়া যদি সিল্করুটে বেড়াতে যেতে চান, তাহলে একরাত কাটিয়ে যেতে পারেন ঋষিখোলায়। কালিম্পং, কার্শিয়াং কিংবা পূর্ব সিকিম থেকেও আপনি অনায়াসে ঘুরে নিতে পারেন ঋষিখোলা। ঋষিখোলায় থাকার জন্য নদীর পারে বেশ কয়েকটি রিসর্ট ও হোমস্টে রয়েছে। তবে আগে থেকে বুকিং করে যাওয়াই ভাল। বছরের যে কোনও সময় আপনি ঋষিখোলা যেতে পারেন। তবে নদীর পাড়ে অবস্থিত হওয়ায় বর্ষায় ঋষিখোলা এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।