ফেব্রুয়ারিতে নতুন জায়গা এক্সপ্লোর করতে চান? নতুন কিছু দেখার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন? এই সুযোগে বেছে নিতে পারেন কুনো জাতীয় উদ্যানকে। গত বছর থেকে কুনো জাতীয় উদ্যান লাইমলাইটে রয়েছে। কারণ প্রায় ৭৫ বছর পর দেশের ফিরেছে চিতা। আর সেগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে কুনোর জঙ্গলে। ভারতবাসী কাছে এ খবর থাকলেও ওই চিতাদের দেখা সুযোগ নেই। তবে, এই ফেব্রুয়ারিতেই কুনোয় শুরু হতে চলেছে চিতা সাফারি।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে সুদূর নামিবিয়া থেকে ৮টি আফ্রিকান চিতা আনা হয় ভারতে। তাদের বাসস্থান হয়ে ওঠে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যান। প্রায় ৫ মাস কেটে গিয়েছে। কুনোর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে শুরু করেছে তারা। তাই ফেব্রুয়ারিতেই কুনোয় চিতা সাফারি শুরু করার পরিকল্পনা করছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। তবে, কবে থেকে এই জঙ্গল সাফারি শুরু হবে, টিকিট কত হবে, কীভাবে ঘুরিয়ে দেখানো হবে আফ্রিকান চিতাদের এই বাসস্থান সেসব এখনও জানানো হয়নি।
মধ্যপ্রদেশের মাটিতে এই আফ্রিকান চিতার বাসস্থান গড়ে ওঠে, রাজ্যের পর্যটন শিল্পকে এক অনন্য মাত্রা এনে দিয়েছে। কুনো পালপুর জঙ্গলে এতদিন পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু এবার কুনোর আশেপাশের অঞ্চলে ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে রিসর্ট, হোমস্টে। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে নানা পরিকাঠামো গড়ে উঠছে এখানে। সক্রিয় ভাবে কাজ করছে মধ্যপ্রদেশের পর্যটন বোর্ড। এই অঞ্চলের স্থানীয়রা মূলত সাহারিয়া উপজাতির মানুষ। তারাই কুনোর পর্যটন শিল্পে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশন এবং ইকোট্যুরিজম বোর্ড সাহারিয়া উপজাতিদের বাড়িগুলোকে হোমস্টে তৈরি করার জন্য বেছে নিয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
চিতা আসায় কুনো এখন ইকো-ট্যুরিজমের অংশ। যদিও এখনও এখানে পর্যটন ব্যবস্থা শুরু হয়নি। কিন্তু যদি ফেব্রুয়ারি থেকে কুনোয় চিতা সাফারি শুরু হয়, তাহলে সে দিন আর বেশি দেরি নেই, যখন এখানে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়বে। গোয়ালিয়র থেকে মাত্র ৪ ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত কুনো। ইতিহাসের সঙ্গে জঙ্গল সাফারির এমন সুযোগ তখন পর্যটকেরা সহজে হাত ছাড়া করবেন না।
এখন কুনোয় ৮টি আফ্রিকান চিতা রয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আরও ১২টি চিতা আনা হবে ভারতে। এ ভাবে প্রতি বছরই ১২টি করে চিতা ভারতে পাঠানো হবে বলে আফ্রিকার পরিবেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। সুতরাং, ধীরে ধীরে আরও উন্নত হবে কুনোর পর্যটন। যদিও এখন কুনোয় গেলে আপনি ওই ৮ চিতা দেখতে পাবেনই, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। তবে, নীলগাই, লেপার্ড, কৃষ্ণসার হরিণ, প্যান্থার, শেয়াল, হায়েনা এবং ভাল্লুক সহ বহু জীবজন্তুর দেখা পেতে পারেন। এমনকী কুনোর নদীতে জলজ প্রাণীরও দেখা পেতে পারেন। বার্ডওয়াচার গেলেও নিরাশ হবেন না। সুতরাং, মধ্যপ্রদেশ যাওয়ার প্ল্যান করলে কুনো বাদ দেবেন না আর।