যে কোনও অফিসেরই অক্সিজেন হল কর্মচারীরা (Employees)। আর তাদের খুশি রাখতে বেতন বাড়িয়ে দেওয়াটাকেই একটি কর্তব্য বলে মনে করে অধিকাংশ কোম্পানি। এর আগে শুনে থাকবেন, এক অফিসের বস, তার কর্মচারীকে মার্সিডিজ উপহার দিয়েছিলেন। তবে এবার যেটা হয়েছে, তা একেবারে অবিশ্বাস্যকর বলা যেতে পারে। এক বস, তাঁর অফিসের কর্মচারীদের নিয়ে বালি ভ্রমণে (Bali Trip) গিয়েছেন, তাও আবার সমস্ত খরচের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েই। এমনটা যে একেবারেই বিরল, তা বলাই বাহল্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন মন ভাল লাগা ভিডিয়ো ও খবর প্রকাশ্যে আসতে ওই বস এখন ‘বিশ্বের সেরা বস’ (Worlds best Boss) হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন।
সিডনির এক বিপণন সংস্থা স্যুপ এজেন্সির কর্মচারীরা যখন শোনেন টানা ২ সপ্তাহে জন্য ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় দ্বীপে ছুটি কাটাতে নিয়ে যাওয়া হবে, তখন নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না অনেকে। সংস্থাটি তার ইন্সটাগ্রাম ফিডে ভ্রমণের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, কর্মচারীরা একসঙ্গে রোদ গায়ে নিয়ে হাইকিং, কোয়াড বাইকিং, পুলের পাশে মজা, আড্ডা, যোগ-ব্যায়াম করতে দেখা গিয়েছে। সেখানেও হয়েছে জরুরি মিটিং। অফিসের কাজ কম, চুটিয়ে মজা করাই এই ভ্রমণের মূল উদ্দেশ্য। সঙ্গে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া তো আছেই। ভিডিয়োটির ক্যাপশনে লেখা আছে, বালি ট্রিপ শেষ, টিম হিসেবে এই প্রথম ওয়ার্কিং হলিডে। স্যুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাটিয়া ভাকুলেঙ্কো জানিয়েছেন, ‘এই ট্রিপটি চালু হওয়ার পর থেকে এজেন্সিতে সেরা টিম নির্মাণের অভিজ্ঞতা হল।’ কাটায়া ডেইলি মেইলকে জানানো হয়েছে, ‘আমি মনে করি কর্মক্ষেত্রে র জন্য সকলের একটি ভাল টিম তৈরি করা উচিত। টিম হিসেবে একসঙ্গে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ। তা সে কাজের সময়েই হোক বা বাইরে।’
‘কোভিড অতিমারি আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল, অফিসের কাজ করার নতুন উপায় রয়েছে। মূল কথা হল, অফিসের কাজ শুধু অফিসে বসেই হয় না, যে কোনও জায়গা থেকেই কাজ করতে পারা সম্ভব। তাই আমরা সত্যিই এটিকে একটা পরবর্তী স্তরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এমনটাই বক্তব্য ম্যানেজিং ডিরেক্টরের। বিভিন্ন বিভাগের সহকর্মীরা প্রথমবারের মত একসঙ্গে কাজ করেছেন। ডেনপাসারের এক ঘণ্টা একটি বিলাসবহুল ভিলায় থাকছেন, খাওয়া দাওয়া করছেন। মিশেল নামে এক স্টাফ এই ছুটির মধ্যে নিজের জন্মদিনও পালন করেছেন।
‘পুরো এজেন্সির কাজ করা, ইন্টারঅ্যাক্ট করা ও সহযোগিতা করা কঠিন হলেও নিজের ভিতরে বেশ তরতাজা মনে হচ্ছিল। এটা অবশ্য়ই জীবনের সেরা একটি অভিজ্ঞতা, যা কোনও দিন ভুলব না।’ বালি ট্রিপে এসে ধন্য বলে মনে করছেন সংস্থার ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ কুমি হো। এখানেই শেষ নয়, এই সংস্থাটি ইতোমধ্যেই পরবর্তী ওয়ার্কিং হলিডে-র জন্যও পরিকল্পনা করে ফেলেছে। পরবর্তী গন্তব্যস্থল হিসেবে সকলের পছন্দের ইউরোপ!