বর্ষায় গোয়া যাবেন ভাবছেন? দুধসাগর জলপ্রপাত ঘুরে দেখতে ভুলবেন না। আর যদি কর্ণাটক যান, তাহলেও ঘুরতে দেখতে পারেন দুধসাগর জলপ্রপাত। ঘন সবুজে ঢাকা পাহাড়ের মাঝ বরাবর নামছে খরস্রোতা জলপ্রপাত। দুধের মতো সাদা। তাই তো নাম দুধসাগর জলপ্রপাত। তবে, এটাই এর বৈশিষ্ট্য নয়। জলপ্রপাতের পাশ দিয়ে ছুটছে ট্রেন। এরই আকর্ষণে পর্যটকদের ভিড় দুধসাগর জলপ্রপাতে। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বেশ ভাইরাল দুধসাগর জলপ্রপাতের রিলস।
বর্ষার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র গোয়া। গির্জা, বিভিন্ন স্থাপত্য, সমুদ্র সৈকত নিয়ে গড়ে উঠেছে গোয়া। কিন্তু খুব কম মানুষই দুধসাগর জলপ্রপাত দেখতে যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় বাড়ছে দুধসাগর জলপ্রপাতে। সারাবছর খুব বেশি পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা না গেলেও, বর্ষায় আনাগোনা বাড়ে। কারণ বর্ষাতেই রূপ ধারণ করে দুধসাগর জলপ্রপাত।
গোয়া ও কর্ণাটক সীমান্তে অবস্থিত দুধসাগর জলপ্রপাত। ভগবান মহাবীর অভয়ারণ্য ও মল্লেম জাতীয় উদ্যানের মাঝে অবস্থিত দুধসাগর জলপ্রপাত। ১,০১৭ ফুট উচ্চতা থেকে নেমে আসছে দুধসাগর। যদি উচ্চতার দিক দিয়ে এটি ভারতে পঞ্চম স্থানে রয়েছে। পশ্চিমঘাট পাহাড়ের কোল বেয়ে নেমে আসা দুধসাগর ইউনেস্কো সাইটও। যদিও ‘দুধসাগর’-এর আসল নাম ‘সি অফ মিল্ক’।
বর্ষায় সড়কপথে দুধসাগর জলপ্রপাত যাওয়া যায় না। রাস্তা বন্ধ থাকে। অক্টোবরে রাস্তা খোলে। তাই রেলপথই ভরসা। পুনে ও বেলগাঁও থেকে পূর্না এক্সপ্রেসে চেপে পৌঁছে যেতে পারেন দুধসাগর জলপ্রপাতের কাছে। যদিও দুধসাগর জলপ্রপাতে কোনও আলাদা স্টেশন নেই। শুধু পর্যটকদের উদ্দেশ্যেই এখানে ট্রেন থামে। প্রতি শনিবার ও রবিবার এই ট্রেন ছাড়ে। সকাল ১১টায় দুধসাগর পৌঁছায়। আবার দুধসাগর থেকে বিকাল ৫টায় গোয়া এক্সপ্রেসে চেপে ফিরতে পারেন।
ট্রেকিং করেও পৌঁছাতে পারেন দুধসাগর জলপ্রপাতে। দু’টো ট্রেকিং রুট রয়েছে। একটা ক্যাস্টেল রক রুট, অন্যটি কুল্লেম রুট। ক্যাস্টেল রক রুটে আপনাকে পূর্না এক্সপ্রেসে চেপে নামতে হবে কাস্তারেক স্টেশন। সেখান থেকে রেল ট্রাক ধরে ১৪ কিলোমিটার হাঁটতে হবে। সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘণ্টা। এছাড়া কুল্লেম স্টেশনে নেমে ১১ কিলোমিটার হাঁটতে পারেন। যদিও দুধসাগর পৌঁছানোর মজা রয়েছে ট্রেনে চেপেই।