বসন্তের আবহে সাদা বরফের চাদরে ঢেকে গিয়েছে সান্দাকফু। এমনকী বরফে ঢেকেছে মানেভঞ্জন, ফালুট। গত রবিবার মাঝরাত এবং সোমবার সকালে তুষারপাত হয়েছে সান্দাকফু সংলগ্ন এলাকায়। সমতলে গরম বাড়লেও খুশির মেজাজে রয়েছেন সান্দাকফু বেড়াতে যাওয়া পর্যটকেরা। এরই মাঝে আরও এক খুশির খবর পর্যটকদের জন্য। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এই মরশুমে চারটি নতুন জয়রাইড চালানোর সিদ্ধান্ত নিল দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষ। ১ মার্চ থেকে শৈল শহরে চারটি জয়রাইড চলবে।
কলকাতায় গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা না হলেও কম দিনের ছুটি কাটাতে এখনও বাঙালি ভিড় করে শৈলশহরে। বসন্তের আমেজে পাহাড়মুখী বাঙালি। তার মধ্যে চলতি সপ্তাহে তুষারপাত পর্যটকদের কাছে উপরি পাওনা। আবার ১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে নতুন চারটি জয়রাইড। সবমিলিয়ে পাহাড় পর্যটকদের নিয়ে জমজমাট।
ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ৮টি জয়রাইড চালানো হত। ১ মার্চ থেকে মোট ১২টি জয়রাইড চালানো হবে। পর্যটকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে নতুন জয়রাইড চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষ। দার্জিলিং বেড়াতে আসা প্রতিটা পর্যটক যাতে জয়রাইডের মজা নিতে পারে, তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষ। আগামী দিনে গরমের ছুটি কাটাতে আরও পর্যটকদের ঢল নামবে পাহাড়ে। এই সব কারণেই বাড়তি জয়রাইড চালানো হবে। প্রতিটি জয়রাইডে একটা করে ফার্স্ট ক্লাস চেয়ার কার কামরাও থাকবে।
অন্যদিকে, ১ মার্চ থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত নিউ জলপাইগুড়ি-দার্জিলিং এসি স্পেশ্যাল টয়ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যাত্রী সংখ্যা না হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আগামী দিনে দার্জিলিঙে বেড়াতে আসা প্রতিটি পর্যটক জয়রাইডে শৈলশহর ভ্রমণ উপভোগ করতে পারে, তাই বাড়তি জয়রাইড চালানো হচ্ছে। এতে শৈলশহরে টয়ট্রেনের অভিজ্ঞতা পাবেন পর্যটকেরা।
নতুন চারটি জয়রাইডের মধ্যে প্রথম ট্রেনটি দার্জিলিং থেকে সকাল ৯.২০ মিনিটে ছাড়বে এবং ঘুম পৌঁছাবে ১০.০৫ মিনিটে। এরপর আবার ঘুম থেকে ১০.২৫ মিনিটে ট্রেন ছাড়বে এবং দার্জিলিং পৌঁছবে ১০.৫৫ মিনিটে। দ্বিতীয় ট্রেনটি দার্জিলিং থেকে সকাল ১১.২৫ মিনিটে ছাড়বে এবং ঘুমে পৌঁছে যাবে ১২.১০ মিনিটে। ঘুম থেকে ১২.৩০ মিনিটে ছাড়বে এবং দার্জিলিং পৌঁছবে দুপুর ১টায়। তৃতীয় ট্রেনটি দার্জিলিং থেকে দুপুর ১.২৫ মিনিটে ছাড়বে এবং ঘুম পৌঁছাবে ২.১০ মিনিট। আবার ঘুম থেকে ওই ট্রেনটি ২.৩৫ মিনিটে ছেড়ে দার্জিলিং পৌঁছে যাবে দুপুর ৩.০৫ মিনিটে। চতুর্থ ট্রেনটি দার্জিলিং থেকে দুপুর ৩.৩০ মিনিটে ছাড়বে এবং ঘুম পৌঁছাবে বিকালে ৪.১৫ মিনিটে। আবার ঘুম থেকে বিকাল ৪.৩৫ মিনিটে ছেড়ে দার্জিলিং পৌঁছাবে ৫.০৫ মিনিটে।