এই মুহূর্তে ভ্রমণ পিপাষুদের জন্য একটা দারুণ সুখবর। একটি কোভিড ভ্রমণ আপডেটে ব্যাংকক ঘোষণা করেছে যে ১ অক্টোবর থেকে টিকার ডবল ডোজ নেওয়া ভ্রমণকারীদের জন্য অবাধ প্রবেশ চালু হবে। থাইল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন পুনরায় চালু করার বার্তা দিচ্ছিল ঠিকই কিন্তু সংক্রমণ আবার বেড়ে যাওয়ায়, পরিকল্পনাটি নিজের উদ্দেশ্যে পৌঁছতে পারেনি। কিন্তু এখন, মানুষ টিকা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি আবার পর্যটন দুনিয়ায় আশা জাগিয়েছে।
পুরো পৃথিবী প্যান্ডেমিকে আক্রান্ত হওয়ার আগে ‘ট্যুরিজম’ থাইল্যান্ডের জাতীয় আয়ের পঞ্চম স্থান অধিকার করেছিল। কিন্তু আজ, কোভিডের কারণে, তাদের এই পর্যটন বিগত ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এখন, থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে ১ অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীরা এখানে আসতে পারবেন। অবশ্য, যাঁরা দুটি ভ্যাকসিন শটই নিয়েছেন তাঁরাই অন্য চারটি প্রদেশের সঙ্গে ব্যাংকক পরিদর্শন করতে পারবেন। এছাড়াও, আরও জানানো হয়েছে যে, যদি আপনি সম্পূর্ণরূপে টিকা নেওয়া থাকে, তাহলে আপনাকে ১৪ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টাইন নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে না।
এর পাশপাশি, দেশটি একটি স্যান্ডবক্স থিম চালু করেছে। এর অধীনে পর্যটকদের দেশে আসার পর এক সপ্তাহের জন্য এক জায়গায় থাকতে হবে এবং কোভিড টেস্ট করাতে হবে। এই উদ্যোগটি পাঁচটি অঞ্চলে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে চিয়াং মাই, চোন বুড়ি, ফেচাবুড়ি এবং প্রচুয়াপ খিরি খান প্রদেশ। কর্মকর্তাদের মতে, ২১ অক্টোবরের মধ্যে চিয়াং রাই, সুখোথাই এবং রায়ং সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রগুলিও এই তালিকায় যুক্ত হবে।
সরকারের মুখপাত্র থানাকর্ন ওয়াংবুনকংচানা অনুসারে, স্যান্ডবক্স স্কিমের আওতায়, ফুকেটে ২৯,০০০ এরও বেশি সংখ্যক সম্পূর্ণরূপে টিকা নেওয়া বিদেশী ভ্রমণকারী রেকর্ড করা হয়েছিল। যা থেকে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পেরেছে তারা।
যদিও, দেশে তৃতীয় ঢেউ এখনও পুরোপুরি শেষ হয়নি, তাই পর্যটন সংস্থা সতর্ক করেছে যে ভবিষ্যতে পরিকল্পনা বদলানোও হতে পারে। স্পষ্টতই, যখন বিশ্ব ২০২০ সালে মারাত্মক ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছিল, তখন থাইল্যান্ড হালকাভাবে প্রভাবিত হয়েছিল। দ্বিতীয় ঢেউয়ে এখানে সংক্রমণের রেকর্ড বেশ কিছুটা কম ছিল। কিন্তু ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেশটিকে বাজে ভাবে আক্রান্ত করেছিল। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে থাইল্যান্ডে ১.৩ মিলিয়নেরও বেশি সংক্রমণের কথা রেকর্ড করা হয়েছে এবং প্রায় ১৪,০০০ জন মারাও গেছে।
আরও পড়ুন: করোনার মধ্যেই চলছে পর্যটন শিল্পে জোর প্রস্তুতি, রাজস্থানে চালু হল হেলিকপ্টার পরিষেবা!
আরও পড়ুন: গোলাপি শহর, নীল শহর, নবাবের শহর… এইসব ডাকনাম দিয়ে চেনা যায় ভারতের বেশ কিছু শহরকে
আরও পড়ুন: আলু খেতে ভালবাসেন, তাহলে বিশ্বের ‘পটেটো হোটেলে’ থাকার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না যেন!