করোনার জেরে দেশের পর্যটন শিল্পে যে বড় ক্ষতি সৃষ্টি হয়েছে, সেই ঘাটতি মেটাতে বর্তমানে সব রাজ্যই পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে অভিনব পন্থা প্রয়োগ করছে। ইতোমধ্যেই পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ও আকৃষ্ট করতে হেলিকপ্টার ট্যুরিজমের ব্যবস্থা করেছে রাজস্থান সরকার। গত ২২ অগস্ট থেকে মাত্র ২০ দিনের জন্য একটি ট্রায়াল পর্ব রাখা হয়েছিল। রাজসামন্দ প্রশাসন ও স্কাইলাইন সার্ভিসের যৌথ প্রচেষ্টায় এই অভিনব প্রকল্পের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, চপার ট্যুরিজম পরিষেবার একমাত্র লক্ষ্য হল, উদয়পুর, কুম্ভলগড় ও নাথদ্বারের মতো অতি-পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে একসারিতে সংযুক্ত করা। পর্যটকরা যাতে শীঘ্রই জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে যাতায়াত করতে পারে, তার জন্য হেলিকপ্টার যাত্রা অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া পর্যটকরা যাতে এই পরিষেবা যাতে দ্রুত বুক করতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সরকারি এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪টি আসনের হেলিকপ্টার পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সেই পরিষেবার দিকে আরও নজর দেওয়া হবে। এছাড়া এই পরিষেবা পেতে হলে পকেট থেকে মাত্র ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খসাতে পারলেই চলবে। রাজসামন্দ জেলা কালেক্টর অরবিন্দ পোসওয়াল জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার পরিষেবা আপাতত উদয়পুর থেকে অন্যান্য জায়গার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া সেখান থেকে উদয়পুরে ফিরে যাওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, যদি কোনও পর্যটক নাথদ্লার পরিদর্শন করতে চায়, তিনি সেখানে ২-৩ ঘণ্টা থাকতে পারেন। হেলিকপ্টার তাঁকে সেখান থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে কুম্ভলগড়ের দিকে নিয়ে যাবে। আবার পর্যটকদের সুবিধার্থে ওয়ান-ওয়ে, টু-ওয়ে বা একটি মাত্র গন্তব্যের জন্যও টিকিট বুক করতে পারেন।
নয়া পরিষেবার কারণে তিনটি উল্লেখযোগ্য জায়গার মধ্যে ভ্রমণের সময় অনেকটাই কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সুবিধা ছাড়াও বার্ড আই-ভিউয়ে রাজস্থানের অপার সৌন্দর্য্যে দেখার সুযোগও পাবেন পর্যটকরা। আরও জানা গিয়েছে, এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য ইতোমধ্য়েই কয়েকটি বুকিং হয়েছে। পর্যটকরা এই অসাধারণ পরিষেবা পেতে ও উপভোগ করতে আরও আগ্রহী হবেন বলে আশা করছে প্রশাসন। পর্যটন শিল্পে নয়া উদ্যোগটি সাফল্য পেলে রাজ্যের অন্যান্য জনপ্রিয় কেন্দ্রগুলির সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Jagannath Temple: ভক্তদের জন্য সুখবর! শনিবারও খোলা থাকবে পুরীর জগন্নাথের মন্দির