শহরে শীতের আমেজ। শোয়েট শার্ট পরে কাজে বেরোতে হচ্ছে সকালে। সূর্য ডুব দিলে সঙ্গে রাখতে হচ্ছে মাফলার। এই মরশুমে চড়ুইভাতির প্ল্যান করেছেন কি? শীতকাল এলেই পিকনিকের পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায়। কেউ বেছে নেন নদীর পাড়, আবার কারও পছন্দ গ্রামের বাড়ি। এই সুযোগে আপনি যেতে পারেন গড়চুমুক। হাওড়ার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র গড়চুমুক। এই পিকনিক স্পটে তৈরি হয়েছে ‘মিনি জ়ু’। এই মিনি জ়ু আগামী বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর থেকে সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। অর্থাৎ, এই শীতে গড়চুমুকে চড়ুইভাতি করতে গেলে পাবেন দ্বিগুণ আনন্দ।
আমফান ঝড়ের পর থেকে টানা প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ ছিল মিনি জ়ু। গড়চুমুক ঘুরে দেখা গেলেও মিনি জ়ু’তে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। এই চিড়িয়াখানা বন্ধ নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে পর্যটকদের। তবে, এবার প্রতীক্ষা অবসান। শীতের মরশুমে চলতি সপ্তাহতেই মিনি জ়ু-এর গেট খুলে যাবে পর্যটকদের জন্য।
এই মিনি জ়ু-এর দায়িত্বে রয়েছে বন দফতর। এই চিড়িয়াখানায় প্রথম থেকেই হরিণ ছিল। এবার হরিণের পাশাপাশি আরও জীবজন্তু দেখতে পাবেন এখানে। কাঁকর হরিণও আনা হয়েছে এখানে। এছাড়া ইন্ডিয়ান রক পাইন (অজগর), কুমির, স্থল ও জলে থাকা কচ্ছপ, সজারু, বাঘরোলেরও দেখা পাবেন এই চিড়িয়াখানায়। ময়ূর, কাকাতুয়া, লাভ বার্ডস, বদ্রি থেকে শুরু করে সিলভার ফ্রেজান্ট, জাভা, পাইথন, এমু, ইগুয়ানা, এমনকি ম্যাকাও দেখতে পাবেন মিনি জ়ুতে। এসব জীবজন্তু রাখার জন্য ২৪টি এনক্লোজ়ার তৈরি করা হয়েছে। কোন এনক্লোজ়ার কোন প্রাণী রয়েছে, সেটাও বোর্ডে লিখে টাঙানো হয়েছে চিড়িয়াখানাতে। আপনি যদি পশুপ্রেমী হোন, এই চিড়িয়াখানায় থাকা যে কোনও পশু বা পাখির এক বছরের খাওয়া ও পরিচর্যার দায়িত্ব নিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে বন দফতরে।
৫৮ গেট, নদীর পাড়, বাগান, চিড়িয়াখানা সব নিয়ে সেজে উঠেছে গড়চুমুক। ১২.৪৩ হেক্টর জায়গা জুড়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গড়চুমুকের বাগান ও মিনি জ়ু। পাতাবাহার গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে ‘ভালোবাসার গড়চুমুক’। শীতের আমেজ গায়ে যাবেন তো গড়চুমুক?