সকালে ঘুম থেকে ওঠা চাপের হয়? কিন্তু সকালের বিমান ধরলে অনেক সুবিধা পেতে পারেন। যদিও সকালের বিমান ধরতে গেলে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয় বলে মনে করেন অনেকে। ঘণ্টাখানেক আগে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হয়। ভোরে বিমান থাকলে অনেকে আবার রাত থাকতেই পৌঁছে যান বিমানবন্দরে। কিন্তু এই সমস্যার বাইরেও সকালের ফ্লাইট ধরার বেশ সুবিধা রয়েছে। ফাইভ থার্টিএইট-এর তথ্য অনুযায়ী, সকালের বিমানগুলো গন্তব্যে পৌঁছাতে খুব একটা দেরি করে না।
ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে বিমানবন্দর যাওয়া একটু কষ্টকর মনে হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি একবার সকালের বিমান ধরেন তাহলে অনেক সুবিধা পাবেন। ফাইভ থার্টিএইট যে তথ্য শেয়ার করেছে, তাতে বলা হয়েছে, সকালের বিমানগুলো বিকাল কিংবা সন্ধ্যের ফ্লাইটের তুলনায় কম দেরি করে। অর্থাৎ সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে গেলে আপনার সকালের ফ্লাইটের টিকিট কাটাই উচিত।
সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো ছাড়াও সকালের ফ্লাইটের আরও বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। ফাইভ থার্টিএইট নামক ওই ওয়েব সাইটের মতে, সকালের বিমানে ভিড় কম হয়। খুব কম মানুষই সকালের বিমানে যাতায়াত করেন। তাছাড়া দুর্ঘটনা এড়াতে গেলে সকালের বিমানের টিকিট কাটাই ভাল। ন্যাশনাল সিভিয়ার স্টর্মস ল্যাবরেটরির মতে, বেশিরভাগ ঝড়জল, বজ্রপাত বিকালের দিকেই ঘটে। সুতরাং, সকালের বিমানসফর অনেক বেশি সুরক্ষিত।
এখনও নিজেকে মানাতে পারলেন না? আমাদের আরও একটা কারণ রয়েছে আপনাকে রাজি করানোর। সকালের বিমানের ভাড়া কম। দিনের অন্যান্য ভাগের বিমানের তুলনায় সকালের বিমানের ভাড়া অনেক কম। অন্তত সেটাই দাবি করছে ফেয়ারকম্পেয়র-এর সমীক্ষা। সুতরাং, টাকা আর সময় বাঁচাতে সকালের বিমানের চেয়ে ভাল বিকল্প কিছু হয় না।
যে হারে বিমানের ভাড়া বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে উইকএন্ডে এক শহর থেকে অন্য শহর যাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বিমানের ভাড়াও এখন বেড়ে গিয়েছে। সামনেই ক্রিসমাস। এই সময় বিশ্বজুড়ে এয়ারলাইনসগুলোর ভাড়া বেড়ে যায়। পকেট বাঁচাতে অনেকেই আগে থেকে টিকিট কেটে রাখেন। কিন্তু আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সেটা সব সময় সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে সকালের বিমান বেছে নিন। টাকা আর সময় দুটোই বেঁচে যাবে। শীতের মরশুমে ঘুম থেকে ওঠা কষ্টকর হলেও সকালের ফ্লাইটে ভ্রমণ বেশি সাশ্রয়ী।