Hooghly: উইকএন্ডে ঐতিহাসিক স্থানে বেড়াতে যেতে যান? কাছেই রয়েছে হুগলি

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Nov 25, 2022 | 8:30 AM

Weekend Gateway: এ রাজ্যে ঐতিহাসিক জায়গার অভাব নেই। তবে এর জন্য আপনাকে দূরে কোথাও যেতে হবে না। কাছে-পিঠের মধ্যে হুগলি ঘুরে আসতে পারেন।

Hooghly: উইকএন্ডে ঐতিহাসিক স্থানে বেড়াতে যেতে যান? কাছেই রয়েছে হুগলি

Follow Us

ঠান্ডা এখনও জমিয়ে পড়েনি। কিন্তু উইকএন্ডে তো রয়েছে। আর ছুটির মেজাজে বেড়াতে কার না ভাল লাগে বলুন তো! কিন্তু উইকএন্ডে দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়া সম্ভব নয়। পাহাড়, জঙ্গল তো একদমই নয়। আর এই মরশুমে সমুদ্র যেতে পছন্দ করেন না অনেকেই। তবে এ রাজ্যে ঐতিহাসিক জায়গার অভাব নেই। তবে এর জন্য আপনাকে দূরে কোথাও যেতে হবে না। কাছে-পিঠের মধ্যে হুগলি ঘুরে আসতে পারেন।

হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল কিংবা বর্ধমান লোকালে চেপে পৌঁছে যান কোন্নগর। কোন্নগর স্টেশন থেকে টোটো ভাড়া করে নিন। জিটি রোড ধরে এগোলেই পৌঁছে যাবেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাগানবাড়ি। এখানে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগ্রহশালা রয়েছে। এখানে কিছুটা সময় আপনি নিরিবিলিতে গঙ্গার পাড়ে কাটাতে পারবেন।

এখান থেকে পৌঁছে যেতে পারে শ্রীরামপুর। শ্রীরামপুর একটা সময় ড্যানিশদের শহর ছিল। সেই পাশ্চাত্যের ছোঁয়া এখানে স্থাপত্যে লক্ষ্য করা যায়। শ্রীরামপুরে ঘুরে দেখতে পারেন শ্রীরামপুর মিশন, কলেজ, ড্যানিশ চার্চ, কেরির সমাধি, ড্যানিশ সরাইখানা ইত্যাদি। শ্রীরামপুর ঘুরে পৌঁছে যান চন্দনগর। এই শহরের ফরাসি মিউজিয়াম, স্ট্যান্ড, চার্চ সর্বত্র জুড়ে রয়েছে পাশ্চাত্যের ছোঁয়া। চন্দনগর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে চুঁচুড়া। চুঁচুড়াতেও ডাচ স্থাপত্য চোখে পড়ে।

এখানে ঘুরে দেখতে পারেন ইমামবাড়া। যদি এই জেলায় ব্যান্ডেল সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ব্যান্ডেল এক সময় ছিল পর্তুগিজদের শহর। এখানকার সপ্তগ্রাম বন্দরে পর্তুগিজরা ব্যবসা করতে আসত। ষোড়শ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে পর্তুগিজরা এই ব্যান্ডেল শহরকে বন্দর হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করে। এরপর যখন তারা এখানে স্থায়ী বসবাস শুরু করে, স্থানীয়দের ধর্মান্তরিত করতে শুরু করে। এরপরই এই শহরে খ্রিস্টানের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাপিয়ে যায়। এই কারণে এখন এই শহরে পর্তুগিজদের ছাপ লক্ষ্য করা যায়।

এই শহরের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় স্থান হল ব্যান্ডেল চার্চ। ব্যান্ডের চার্চ পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম গির্জাগুলোর মধ্যে একটি। এর পুরো নাম দ্য ব্যাসিলিকা অফ দ্য হোলি-রোসারি। ১৬৬০ সালে তৈরি করা হয়ে এই চার্চ। এই জেলায় সবচেয়ে পর্যটকরা ভিড় করেন ব্যান্ডেল চার্চে। এছাড়াও এখানে ঘুরে দেখতে পারেন দেবানন্দপুরে শরৎচন্দ্রের বাড়ি সংগ্রহশালা, গ্রন্থাগার ইত্যাদি।

এই জেলাতেই রয়েছে কামারপুকুর। এটা শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থান। আপনি চাইলে এখানেও ঘুরে দেখতে পারেন। মঠ ও মিশ্রণে পর্যটকদের ভিড় সারা বছর লেগেই থাকে। তবে শীতের মরশুমে হুগলির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখতে মন্দ লাগবে না। এছাড়াও শীতে বনভোজনের জন্য বেছে নিতে পারে হুগলির গঙ্গা পাড়ের কোনও জায়গা।

Next Article