প্য়ারিস, বোগোটা, মেস্কিকো সিটি, মনট্রিলের মত শহরগুলিকে পিছনে ফেলে সবুজ শহরের স্বীকৃতি পেল নিজামের শহর (Hyderabad)। ভারতের ঝুলিতে নয়া শিরোপা এনে দিল তেলেঙ্গানার রাজধানী। এই সম্মান পাওয়া কোনও হাতের মোয়া নয়। দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু শহরে ইন্টারন্য়াশানাল অ্যাসোসিয়েশন অফ হর্টিকালচার প্রোডিইসার্সের (AIPH) সমীক্ষায় বিশ্বের সবচেয়ে সবুজ শহরের আন্তর্জাতিক সম্মান লাভ করল চারমিনারের শহর। ৬টি বিভাগে সেরার সেরা এই শহর এখন দেশের প্রাণকেন্দ্র হয়ে গিয়েছে। এর আগে এমন স্বীকৃতি দেশের কোনও শহর পায়নি। ওই ৬টি বিভাগের মধ্যে একটি রয়েছে সিভিং গ্রিন ফর ইকনোমিক রিকভারি অ্যান্ড ইনক্সুসিভ গ্রোথ। সেই ক্যাটাগরিতেও নিজামের শহর পেয়েছে সেরার সম্মান। সম্প্রতি জেজু শহরের অনুষ্ঠিত বিশেষ গালা ডিনারে বিজয়ী শহরের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে জানানো হয়েছে।
হায়দরাবাদে বেড়াতে গেলে সেরা গন্তব্যস্থলগুলি মিস করলে চলবে না। কোথায় কোথায় যাবেন, বিখ্যাত কোনগুলি, জেনে নিন এখানে…
চারমিনার: হায়দরাবাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সুপরিচিত ল্যান্ডমার্ক এটি। ১৫৯১ সালে স্থাপিত হায়দরাবাদের অন্যতম প্রাচীন মসজিদ একটি সৌধ এবং মসজিদ। কুতুব শাহ বংশের পঞ্চম শাসক মুহাম্মদ কুলি কুতুব শাহ মক্কা থেকে ইট আনিয়ে এই মসজিদ নির্মাণ করেন। চারমিনারের চারপাশে একটি বিশাল বাজার আছে, যা লাদ বাজার নামে পরিচিত।
গোলকোন্ডা দূর্গ:ঐতিহাসিক এই দূর্গকে ঘিরে রয়েছএ নানা অজানা ঐতিহাসিক কাহিনি ও গা ছমছমে করা গল্প। স্থানীয়দের কথায়, এই দূর্গ একটি অভিশপ্ত দূর্গ। সূর্য ডুবলেই এখানে অনেক ভৌতিক কাণ্ড ঘটে। হিন্দু ও মুসলিম উভয় শাসনকালেই তৈরি হওয়া এই দূর্গে ছড়িয়ে রয়েছে অতৃপ্ত প্রেম কাহিনি।
রামোজি ফিল্ম সিটি: হায়দরাবাদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য়স্থল হল এই ফিল্ম সিটি। সমগ্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্টুডিও কমপ্লেক্স। জনপ্রিয় ও ব্লকবাস্টার সিনেমা বাহুবলীর শ্য়ুটিং হয়েছে এখানেই। বিনোদন পার্ক, দুটি হোটেল, মাল্টি-কুইজিন রেস্তোরাঁ, বিভিন্ন ধরনের সেট, কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক আকর্ষণ রয়েছে এখানে।
হোসেন সাগর লেক: মানবসৃষ্ট অসাধারণ একটি লেক। শহরের সবচেয়ে রোম্যান্টিক প্লেস হিসেবে পরিচিত এটি। হ্রদের মধ্যিখানে রয়েছে একটি বিশালাকৃতি বুদ্ধমূর্তি। এখানে রয়েছে বোটিং, ওয়াটার স্পোর্টস। পাশেই রয়েছে লুম্বিনি পার্ক।
বিরলা মন্দির: কালা পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত একটি সুন্দর মন্দির। হোসেন সাগরের হ্রদের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এই মন্দিরটি রামায়ণ ও মহাভারতের নানাকাহিনিকে মার্বেলের উপর নিপুণহস্তে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ওড়িশা ও দক্ষিণ ভারতের স্থাপত্য শৈলী দেখার মত। তিরুপতি ভেঙ্কটেশ্বরের একটি প্রতিরূপও এখানে রয়েছে।