দেশের কোথায়ও তাপমাত্রার তারতম্যে থাকলেও কোথায়ও কোথায়ও তাপমাত্রার চূড়ান্ত পর্যায়েও চলে যায়। দেশে এমন একটি একটি স্থান রয়েছে, যা বিশ্বের সর্বোচ্চের তালিকাতেও নাম লিখিয়েছে ভারতে তা সর্বাধিকও বটে। কোথাও তীব্র ঠান্ডা, কোথাওয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।
সবচেয়ে আর্দ্রতম স্থান- মৌসিনরাম
মেঘানয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ের কোলে অবস্থিত এই ছোট্ট গ্রামে গড়ে ১১,৮৭২ মিমি বৃষ্টিপাত হয়। ১৯৮৫ সালে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুসারে এই গ্রামে সর্বাধির ২৬০০০ মিমি বৃষ্টিপাতের রেকর্ড গড়েছিল। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে আর্দ্রতম স্থান হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। মেঘালয়ের স্বর্গরাজ্য এটি।
সবচেয়ে উষ্ণতম স্থান- ফালোদি
এই এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। থর মরুভূমির বাফার জোনে এই উষ্ণতম স্থানের অবস্থান। তাই এখানে তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তবে এই এলাকায় উচ্চতাপমাত্রা থাকলেও অল্প সংখ্যক লোকবসতি গড়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: সঙ্গীর সঙ্গে কার্গিল ট্রিপ! নৈসর্গিক অভিজ্ঞতা নিতে যেতে পারেন এখানে
সবচেয়ে শীতলতম স্থান-দ্রাস
কারগিল শহর ও জোজি লা পাশের মধ্যবর্তী এলাকায় এই সুন্দর বরফে ঢাকা শহর লাদাখের প্রবেশদ্বার নামে পরিচিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০,৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই এলাকায় গড়ে সর্বোচ্চ ঠান্ডা পড়েছিল মাইনাস ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর তারপর থেকে এটিই ভারতের সবচেয়ে শীতলতম স্থান হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে । শীতের সময় এখানে তাপমাত্রা থাকে মাইনা, ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। ১৯৯৫ সালের জানুয়ারিতে সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রা নেমেছিল প্রায় মাইনাস ৬০ ডিগ্রির নীচে।
সর্বনিম্ন এলাকা কুট্টানাদ
ভারতে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। কেরালার কুট্টানাদ এলাকায় দেশের সর্বনিম্ন উচ্চতা হিসেবে পরিচিত লাভ করে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৮-১০ ফুট উচ্চতায় কৃষিকাজ করা হয় এখানে। এটি ভারতের নেদারল্যান্ড নামে পরিচিত।
সবচেয়ে শুষ্কতম এলাকা -লেহ
সমৃদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় এই শহর ভারতের সবচেয়ে শুষ্কতম স্থান হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে, এখানে শীতল মরুভূমির আবহাওয়ার জন্যও বিখ্যাত। শীতকালে এখানে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচেই থাকে। লেহ-তে অতি অল্প পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়। আড়াআাড়িভাবে অবস্থিত হিমালয় পর্বতমালার ছায়ায় বেষ্টিত এই ছোট্ট শহরটির রুক্ষ-শুষ্ক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ভ্রমণকারীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণও বটে।