নবদম্পতিদের প্রথম পছন্দ বালি। বিয়ের পর সঙ্গীকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমণের জন্য অনেকেই বেছে নেন ইন্দোনেশিয়াকে। যদিও প্রথমবার বিদেশ ভ্রমণের জন্য দু’টি বিষয়ের উপর জোর দেয় মধ্যবিত্ত বাঙালি। এক, যে দেশে বেড়াতে যাব সে দেশের মুদ্রার তুলনায় ভারতীয় মুদ্রা যেন শক্তিশালী হয়। আর দুই হল, ভিসা পেতে যেন কোনও ঝামেলা না হয়। এই কারণেই অনেকেই বালিকে বেছে নেন। ইন্দোনেশিয়া ভারতীয় পর্যটকদের জন্য ‘ভিসা-অন-অ্যারাইভাল’-এর সুবিধা দেয়। অর্থাৎ, সে দেশে পা রাখা মাত্রই আপনি হাতে ভিসা পেয়ে যাবেন। কিন্তু কম খরচের মধ্যে কীভাবে বালি ঘুরবেন? রইল টিপস।
প্রায় ১৯ হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বালি। আর হবে না-ই বা কেন! নীল জলরাশি, জলপ্রপাত, সবুজে ঘেরা পাহাড়, প্রাচীন সংস্কৃতি আর স্ট্রিট ফুড নিয়ে পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় বালি। কিন্তু বিদেশ ভ্রমণ করতে গেলে গাঁটের কড়ি খসাতে হয়। এক সপ্তাহে যদি বালি ট্রিপ প্ল্যান করেন, সেটা ৩৫,০০০ টাকার মধ্যে মধ্যে কীভাবে সফল হবে, রইল টিপস।
ভিসার ঝামেলা নেই
ভারতীয় পর্যটকদের ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের জন্য ভিসার ঝামেলা নেই। আপনি ইন্দোনেশিয়ায় পা রাখলেই হাতে ভিসা পেয়ে যাবেন। পাশাপাশি এক টাকাও খরচ করতে হবে না ভিসার জন্য। আর যদি আপনি একমাস ধরে ইন্দোনেশিয়া ঘুরে দেখতে চান, তাহলে আর ভিসারও প্রয়োজন নেই।
যাতায়াতের খরচ
প্রথমবার বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা একটু আগে থেকেই শুরু করতে হয়। বালি যাওয়ার আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের টিকিট আগে থেকে কেটে রাখলে সস্তা হয়। মাসখানেক আগে যদি বিমানের টিকিট বুক করেন তাহলে ১৫-২০ হাজার টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে। বালি পৌঁছে আশেপাশে জায়গা ঘুরে দেখার জন্য বেছে নিন গোজেক বা গ্র্যাব টাক্সি পরিষেবা ব্যবহার করুন। ২০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে ঘুরে নিতে পারবেন বালি। স্কুটারও ভাড়া করতে পারেন। সেখানে খরচ পড়বে প্রায় ৩০০ টাকা।
হোটেল খরচ
সোলো ট্রিপে গেলে ব্যাকপ্যাকার্স হোস্টেলই সেরা। এমনকি বন্ধুদের সঙ্গে বালি গেলেও আপনি ব্যাকপ্যাকার্স হোস্টেলে রাত কাটাতে পারেন। এছাড়াও হোটেলে ডরমেটরি রুম পেয়ে যাবেন। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বালিতে থাকার জায়গা পেয়ে যাবেন। হানিমুনে বালি গেলে বেছে নিতে পারেন কোনও রিসর্ট বা ভিলা। ১৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত রিসর্ট বা ভিলা পেয়ে যাবেন মধুচন্দ্রিমার জন্য।
সাইটসিন
উবুদ পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। এছাড়াও সেমিনিয়াকের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকত, ক্যাঙ্গুর ওল্ড ম্যান্স, উলুওয়াত ইত্যাদি জায়গায় ভিড় করে পর্যটকেরা। তাছাড়া বালির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে, যেসব জায়গায় না গেলে আপনি অনেক কিছু মিস করে যাবেন। এখানে স্নরকেলিং, স্কুবা ডাইভিং থেকে শুরু করে বোটিং সবই করা যায়। এগুলো আপনি ৫০০-২০০০ টাকা খরচ করেই করে ফেলতে পারবেন।
খাওয়া-দাওয়া
নতুন দেশে গিয়েছেন, সেখানকার খাবার চেখে দেখবেন না? বালির স্ট্রিট ফুড বেশ জনপ্রিয় এবং অবশ্যই সুস্বাদু। পাশাপাশি খাবার খুব সস্তাও। স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি ভাত-চিকেনও মিলবে মাত্র ৫০ টাকায়। খুব সস্তাতেই খাওয়া-দাওয়া সারতে পারবেন বালিতে।