কম খরচে বিদেশ ভ্রমণের জন্য ভারতীয়রা বেছে নেন ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের মতো দেশ। ভারতীয় নবদম্পতিদের কাছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় বালি। সমুদ্র, পাহাড় সব কিছু একসঙ্গে পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। বালির পাহাড়ের উঠে ফটোশুট না করলে ইন্দোনেশিয়া ট্রিপ সম্পন্ন হয় না। কিন্তু এবার আর বালিতে গিয়ে ওঠা যাবে না পাহাড়ে। পর্যটকদের বালি ভ্রমণে বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করল বালির গভর্নর। পর্যটকদের অভদ্র আচরণে নষ্ট হচ্ছে বালির পরিবেশ। সেসব রুখতেই বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বালি।
বালিকে বলা হয় ‘ঈশ্বরের দ্বীপ’। ইন্দোনেশিয়ার এই দ্বীপপুঞ্জে রয়েছে ২২টি পাহাড়। এসব পাহাড়গুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র। হিন্দু তীর্থক্ষেত্র হিসেবেও বিবেচিত হয় বালির পাহাড়গুলো। যদিও এসব পাহাড়ের সৌন্দর্যতার টানেই বারবার পর্যটকেরা ছুটে যান সেখানে। কিন্তু বালি প্রশাসনের জানিয়েছে, পর্যটকেরা সেই জায়গার মান ও সৌন্দর্য বজায় রাখতে পারেননি। পর্যটকরা জেনেবুঝে অশালীন আচরণ করেছেন, নষ্ট করেছেন পাহাড়ের পরিবেশ। তা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হল বালি প্রশাসনকে। এবার থেকে আর বালি পাহাড়ে ওঠা যাবে না। তার সঙ্গে বন্ধ হাইকিং, ক্লাইম্বিংয়ের মতো সব ধরনের মাউন্টেন্ট অ্যাক্টিভিটি।
চলতি বছরের এপ্রিলে রাশিয়ার এক পর্যটক বালির পাহাড়ে নগ্ন ফটোশুট করেছিলেন। বছরখানেক আগে বালির পাহাড়ে পর্ন ছবির শ্যুটিং করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভদ্র আচরণ রুখতে বালি পাহাড় ভ্রমণের উপর করও চাপিয়ে ছিল বালি প্রশাসন। কিন্তু তাতেও থামেনি এই ধরনের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগও রয়েছে পর্যটকদের উপর। পর্যটকদের আচরণ ও ব্যবহারে বিরক্ত বালির স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই পাহাড়গুলোর পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
যদিও কর বসানোর পর অনেকাংশে কমে গিয়েছিল বালির পাহাড়ে বিদেশী পর্যটকদের আনাগোনা। এবার পাহাড়গুলিতে পর্যটনে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আরও পর্যটকদের আনাগোনা কমে যাবে। যে স্থানীয়দের জীবিকা ছিল এই পাহাড়ের পর্যটনকে কেন্দ্র করে, সেখানে ভাঁটা পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা অনেকের। বালির পাহাড়কে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল সমগ্র পর্যটন কেন্দ্র। এবার সেই পাহাড় চড়াতেই যদি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, তাহলে কমবে বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যা। যদিও এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র বিদেশী পর্যটকদের নয়। সে দেশের বাসিন্দা হয়েও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে কেউ চড়তে পারবেন না বালির পাহাড়।