Andamann Island: পুজোতে কম খরচে আন্দামান ভ্রমণের সুযোগ! কলকাতা থেকে সস্তার প্যাকেজ IRCTC-র

IRCTC Tour Packages: বাঙালিরা বরাবর আন্দামানে যাওয়ার কথা উঠলে এক পায়ে খাড়া হয়ে থাকেন। আইআরসিটিসি-এর তরফে যে প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানেও রয়েছে বাংলার ছোঁয়া।

Andamann Island: পুজোতে কম খরচে আন্দামান ভ্রমণের সুযোগ! কলকাতা থেকে সস্তার প্যাকেজ IRCTC-র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 21, 2022 | 10:25 AM

ঘন নীল উত্তাল সমুদ্র। তার মাঝখানে বুক ভাসিয়ে রয়েছে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (Andaman and Nicobar Islands)। গহীন অরণ্য, অনাঘ্রাতা সমুদ্রসৈকত, সমুদ্রতলের প্রবালরাজ্য, প্রাচীন গাছ, ফুল, পাখি, ফল এবং জারোয়া গোষ্ঠীর মানুষ নিয়ে আন্দামান ও নিকোবর যেন অজানা এক পৃথিবী। বহু আগে, আন্দামান এবং নিকোবরকে এক মায়াবী দ্বীপ বলেই মনে করত মানুষ। নাগরিক মানুষের ধারণা ছিল এই দ্বীপরাজ্য আসলে সযত্নে সভ্যতার করালগ্রাস থেকে কোনও রহস্যকে যেন বুকে লুকিয়ে রেখেছে! ক্রমে ক্রমে সভ্য মানুষের পা পড়ল চির যৌবনপ্রাপ্ত আন্দামানের সৈকতে (Andaman Beach)। বনানীর নীরব ছায়ায় ঢাকা দ্বীপের শরীর, সেখানকার আদি বাসিন্দারা আবিষ্কৃত হল ধীরে ধীরে। বর্হিজগতের বাসিন্দাদের পা পড়া সত্ত্বেও আন্দামান এখনও ধরে রেখেছে তার মায়াময়তা। আন্দামানের আকর্ষণ তাই এখনও দুর্নিবার।

সম্প্রতি দি ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশনের (IRCTC)-এর তরফে ব্যবস্থা করা হয়েছে আন্দামান ভ্রমণের। নির্দিষ্ট প্যাকেজের বিনিময়ে ভ্রমণ করানো হবে পর্যটকদের। বাঙালিদের কাছে বরাবরই আন্দামানের সঙ্গে আত্মার যোগ। একাধিক স্বাধীনতা সংগ্রামীকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল আন্দামানের সেলুলার জেলে। পরবর্তীকালে উদ্বাস্তুদেরও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয় এই দ্বীপরাজ্যে। ফলে আন্দামানে প্রচুর বাঙালির দেখা মেলে। তাই বাঙালিরা বরাবর আন্দামানে যাওয়ার কথা উঠলে এক পায়ে খাড়া হয়ে থাকেন। আইআরসিটিসি-এর তরফে যে প্যাকেজের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানেও রয়েছে বাংলার ছোঁয়া। আইআরসিটিসি-এর তরফে করা প্যাকেজের নাম— ‘মেসমেরাইজিং আন্দামান উইথ কোলকাতা।’

প্যাকেজের বৈশিষ্ট্য

– এই প্যাকেজের অধীনে কলকাতার সঙ্গে পোর্টব্লেয়ার, হ্যাভলক দ্বীপ, বারাটাং দ্বীপ ঘোরানো হবে।

– পাঁচ রাত ছয় দিন সংবলিত এই প্যাকেজ ভ্রমণের জন্য ধার্য হয়েছে ২৩ সেপ্টেম্বর ও ৭ ডিসেম্বর দিন দু’টি।

– ট্যুর শুরু হবে লখনউ এয়ারপোর্ট থেকে। সর্বাধিক পর্যটক সংখ্যা ৩০।

২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ট্যুর প্যাকেজ (মাথা পিছু)—

একজন গেলে মাথাপিছু খরচ— ৬৫,৯০০ টাকা।

দুইজন একসঙ্গে গেলে মাথাপিছু খরচ— ৫৩,৭৮৫ টাকা,

তিনজন একসঙ্গে গেলে মাথাপিছু খরচ—৫৩, ২৯৫ টাকা,

শিশু ও শয্যা (৫ থেকে ১১ বছর বয়সি বাচ্চা)— ৪৯,৩৩৫ টাকা,

শুধু শিশু (৪ বছর বয়সের নীচের বাচ্চা)— ৪৬,৬২০ টাকা,

৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ট্যুর প্যাকেজ (মাথা পিছু)

একজন: ৭২,৫৬০ টাকা,

দু’জন: ৫৭,৭৮০ টাকা,

তিনজন: ৫৬,৪০০ টাকা,

শিশু ও শয্যা (৫ থেকে ১১ বছর বয়সি বাচ্চার জন্য): ৫০,৭০০ টাকা,

শিশু (৪ বছর বয়সের নীচে): ৪৭,৯৬০ টাকা

ভ্রমণসূচী

প্রথম দিন: ফ্লাইটের নির্দিষ্ট সময়ের দুই ঘণ্টা আগে লখনউ বিমানবন্দরে পর্যটকরা উপস্থিত হবেন। পর্যটকদের নিয়ে বিমান আসবে কলকাতায়। কলকাতায় পৌঁছানোর পর পর্যটকদের হোটেলে রাখা হবে। ফ্রেশ হওয়ার পর পর্যটকদের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীর দ্রষ্টব্য স্থানগুলি ঘোরানো হবে। পর্যটকরা দর্শন করতে পারবেন কালীঘাট মন্দির, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ইত্যাদি। রাতটি তারা হোটেলেই কাটাবেন।

দ্বিতীয় দিন: ভোর ৩টা নাগাদ পর্যটকরা হোটেল ছেড়ে দেবেন ও কলকাতা বিমানবন্দরে উপস্থিত হবেন। বিমানে করে তারা পৌঁছবেন পোর্টব্লেয়ারে। সকাল ৮টা ১০ মিনিটে পোর্টব্লেয়ারের মাটি ছোঁবে বিমানের চাকা।

বিমানবন্দর থেকে সোজা পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে হোটেলে। সেখান থেকে তারা দেখবেন করবাইন’স কোভ বিচ। বিকেলে তাঁরা দেখবেন ঐতিহাসিক সেলুলার জেলের লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো।

তৃতীয় দিন: প্রাতঃরাশের পরে হোটেল থেকে পর্যটকরা বেরিয়ে যাবেন। সঙ্গে থাকবে প্যাকেট করা খাবার। জাহাজে চাপিয়ে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে হ্যাভলক দ্বীপে। সেখানে পৌঁছে তাঁদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হবে। ফ্রেশ হওয়ার পরে তাঁরা লাঞ্চ সারবেন। তারপর তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে রাধানগর এবং কালাপাথর সমুদ্রসৈকতে। রাতটি তাঁরা হোটেলেই কাটাবেন।

চতুর্থ দিন: ব্রেকফাস্ট করে হোটেল ছাড়বেন পর্যটকরা। জাহাজে চেপে তাঁরা ফিরে যাবেন পোর্ট ব্লেয়ারে। হোটেল ঢুকবেন ও লাঞ্চ সারবেন। এরপর তাঁরা নিজের মতো করে সময় কাটাতে পারেন।

পঞ্চম দিন: পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হবে বারাটাং দ্বীপে। বিকেলে পর্যটকরা ফিরে আসবেন হোটেলে।

ষষ্ঠ দিন: ব্রেকফাস্ট করার পরে পর্যটকরা হোটেল ছাড়বেন ও পোর্টব্লেয়ার এয়ারপোর্টে যাবেন। লখনউ-এর ফ্লাইট ধরবেন ও সেইদিনেই লখনউ ফিরবেন।