রেল যাত্রীদের উন্নত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দিতে আইআরসিটিসি নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে একটি নতুন বিশ্বমানের এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ খুলতে চলেছে। এই নতুন লাউঞ্জটি নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১ এর ফার্স্ট ফ্লোরে স্থাপন করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই এটি চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আইআরসিটিসি-র এক কর্মকর্তা বলেন, “নতুন অত্যাধুনিক এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জের লক্ষ্য হল রেলে সফরকারী যাত্রীদের জন্য তাঁদের অপেক্ষাকে আরামদায়ক করে তোলা। এখানে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিষেবা এবং সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে।”
কর্মকর্তার মতে, “নতুন এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জে দর্শকদের জন্য চ্যানেল মিউজিক, ওয়াই-ফাই, টিভি, ট্রেনের তথ্য প্রদর্শন, বিভিন্ন ধরনের পানীয় এবং মাল্টি-কুইজিন বুফে থাকবে। এগুলি অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং উন্নত মানের হতে চলেছে। এছাড়াও রিক্লাইনার, প্রশস্ত লাগেজ র্যাক, ওয়াশরুম এবং চেঞ্জরুমের পাশাপাশি বিশ্রামাগার, শু শাইনার, সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিনের স্টল থাকছে। এছাড়াও যাত্রীদের জন্য কম্পিউটার, প্রিন্টার, ফোটোস্ট্যাট এবং ফ্যাক্সের নানান সুবিধাও রাখা হচ্ছে।”
এই নতুন কমিশনড এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জে প্রবেশ করতে যাত্রীদের প্রথম এক ঘণ্টার জন্য ১৫০ টাকা (প্লাস ট্যাক্স) এবং পরের প্রতিটি অতিরিক্ত ঘন্টার জন্য ৯৯ টাকা করে দিতে হবে। লাউঞ্জটি সপ্তাহের সব দিনই ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। এন্ট্রি চার্জগুলির মধ্যে রয়েছে সুবিধাজনক বসার সুবিধা, ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সুবিধা, বই ও পত্রিকার স্টল আর সুস্বাদু চা বা কফি বা অন্যান্য পানীয়। ভ্রমণকালে দর্শনার্থীদের পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর আবেশ প্রদানের জন্যও রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য পৃথক স্নানের সুবিধা থাকছে। এর জন্য তাঁদের ২০০ টাকা দিতে হবে। এই চার্জের মধ্যে থাকবে উচ্চমানের প্রসাধন সামগ্রী যেমন একদম পরিষ্কার টাওয়েল, সাবান, শ্যাম্পু, শাওয়ার ক্যাপ এবং ডেন্টাল কিট।
এই লাউঞ্জে বুফে আকারে ভেজ এবং নন-ভেজ খাবারও অফার করা হবে। এগুলির দাম প্রত্যেকের ক্ষেত্রে ২৫০ টাকা থেকে ৩৮৫ টাকা পর্যন্ত হবে। আপনি চাইলে আপনার নিজের একার জন্যও একটি লাউঞ্জ বুক করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে এককালীন ৬০০ টাকা দিতে হবে। এই টাকার বিনিময়ে আপনি এই লাউঞ্জে ২ ঘণ্টা থাকতে পারবেন। এই প্যাকেজে থাকছে ওয়াশ আর চেঞ্জের সুবিধা এবং একটা মিল।
এটি নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে আইআরসিটিসি কর্তৃক স্থাপন করা দ্বিতীয় এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ হতে চলেছে। এটি রেল যাত্রীদের বিশ্বমানের পরিষেবা প্রদান করবে। প্রথম এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জটি ২০১৬ সালে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের গ্রাউন্ড ফ্লোরে তৈরি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গোয়া আর রোড-ট্রিপ! দুটোই ভালবাসেন? তাহলে ঘুরে আসুন গোয়া থেকে এই অফবিট রাস্তাগুলোতে
আরও পড়ুন: ওভারট্যুরিজমের ভয়ে কাঁপছে ভেনিস! বসানো হল সিসিটিভি ক্যামেরা!