দোল এবছর বাড়িতে বসেই কাটালেন? ১০-৭টা অফিস করে ক্লান্ত? তার উপর সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বন্ধুদের বেড়াতে যাওয়ার ছবি দেখে মন খারাপ করছে? অফিস থেকে ৪ দিনের ছুটি ম্যানেজ করে নিন আর ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন সিকিমের উদ্দেশ্যে। পশ্চিম সিকিমের কোলে লুকিয়ে ছোট্ট উপত্যকা। নাম কালিজ ভ্যালি। শান্তির খোঁজে যেতে পারেন সেখানে।
সবুজ পাহাড়ের গায়ে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট জনপদ কালিজ ভ্যালি। পাহাড়ের গা বেয়ে পেঁচানো রাস্তা ধরে উঠতে হয় এই উপত্যকায়। সমতলের মানুষ হয়ে পাহাড়ে চড়াই-উতরাইতে সমস্যা হলেও, কালিজ ভ্যালিতে পৌঁছে আপনার সমস্ত গ্লানি দূর হয়ে যাবে। কালিজ ভ্যালি পৌঁছে যত দূর চোখ যাবে শুধুই সবুজে ঘেরা পাহাড়। আর পাহাড়ের উপর ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘ। দেখে মনে হয়, সবুজ ক্যানভাস। উপত্যকার তিন দিক দিয়ে বয়ে গিয়েছে তিন নদী। কালিজের উত্তরে খোলা নদী, পশ্চিমে হি খোলা ও দক্ষিণে রঙ্গিত। আর উপত্যকার ঠিক মাঝখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা।
যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালবাসেন, তাঁদের জন্য সেরা জায়গা কালিজ ভ্যালি। এখান থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ভার্সে রডোডেনড্রন অভয়ারণ্য। ছোট্ট ট্রেইল ধরে ট্রেক করলেই পৌঁছে যাবেন সেখানে। তবে, এখানকার মানুষের লাইফস্টাইল আপনাকে বেশি আকর্ষণ করবে। পাহাড়ি মানুষদের সরল জীবনযাপনে মুগ্ধ হবেন আপনিও। তবে, কালিজ ভ্যালির মূল আকর্ষণ হল যুমা সাম্য মাংহিম মন্দির। এখানে সাম্য ধর্মের মানুষেরা প্রার্থনার জন্য ভিড় করেন। এখান থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে আরেকটি ছোট্ট গ্রাম রয়েছে এবং সেখানে একটি গুহা ও মন্দির রয়েছে। কৈলাশ পাতি গুহ। এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। এখানে পূজিত হন মহাদেব। মহাশিবরাত্রির দিন এখানে জাঁকজমকভাবে পুজো হয়।
বসন্তই কালিজ ভ্যালি বেড়াতে যাওয়ার সেরা সময়। মার্চ-এপ্রিলে ঘুরে নিতে পারেন পশ্চিম সিকিম। এই সময় সিকিম ভরে ওঠে লাল রডোডেনড্রনে। আর যদি ভার্সে বেড়াতে যান, আরও মুগ্ধ করবে রডোডেনড্রন।
কীভাবে যাবেন-
নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে কালিজ ভ্যালি পৌঁছাতে হবে। বাগডোগরা থেকে কালিজ ভ্যালির দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটার এবং নিউ জলপাউগুড়ি স্টেশন থেকে ১৪০ কিলোমিটার। এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোমস্টে পেয়ে যাবেন। সেখানে থাকা-খাওয়া নিয়ে দৈনিক মাথাপিছু খরচ ১,৫০০ টাকা।