Kashmir Great Lakes: পায়ে হেঁটে কাশ্মীর ঘুরে দেখেছেন? ভূস্বর্গের অন্য স্বাদ আস্বাদনে একবার ট্রেক করেই দেখুন

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Apr 20, 2022 | 2:33 PM

Trekking Route: 'গ্রেট লেকস', এই নামটা শুনেই বোঝা যায় যে এর মধ্যে এমন কিছু লুকিয়ে রয়েছে, যার টানে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ছুটে যায়।

Kashmir Great Lakes: পায়ে হেঁটে কাশ্মীর ঘুরে দেখেছেন? ভূস্বর্গের অন্য স্বাদ আস্বাদনে একবার ট্রেক করেই দেখুন
কাশ্মীর গ্রেট লেকস
Image Credit source: istockphoto.com

Follow Us

কাশ্মীর গ্রেট লেকস (Kashmir Great Lakes), এই নামটার মধ্যে যে লুকিয়ে আছে রোমাঞ্চ। যেখানে কাশ্মীরকে ‘ভূস্বর্গ’ বলা হয়, সেখানে কাশ্মীর গ্রেট লেকসে ট্রেক (Treks) করার অভিজ্ঞতা কেমন হতে পারে, কোনওদিন ভেবে দেখেছেন। হিমালয়ের (Himalayan Beauty) সৌন্দর্য শব্দে বর্ণনা করা কঠিন। আর হিমালয়ের বসন্তে? সেটা সচক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। কাশ্মীর গ্রেট লেকস হচ্ছে এমন একটি ট্রেকিং রুটের নাম যেটি বসন্তের সেরা ট্রেকিং রুটগুলির মধ্যে অন্যতম। ‘গ্রেট লেকস’, এই নামটা শুনেই বোঝা যায় যে, এর মধ্যে এমন কিছু লুকিয়ে রয়েছে, যার টানে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ ছুটে যায়। ১৪,০০০ ফুট উচ্চতায় ট্রেক করা একটু কষ্টকর হলেও এর অভিজ্ঞতা সারাজীবনের সঞ্চয়।

কোথাও লেকের নীল জল। আবার কোথাও সুবজ। আবার কোনও জায়গায় নীল আকাশ নেমে এসেছে মাটিতে। আবার কখনও মনে হয় লেকের জলে মিশেছে আকাশের সাদা মেঘ। এই সব কিছুর মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কখনও মনে হতে পারে আপনি মেঘকে ভেদ করে উপরে উঠে যাচ্ছেন। হাঁটতে হাঁটতে যখন ক্লান্ত হয়ে পড়বেন তখন হঠাৎ করেই দেখতে পাবেন সবুজ কার্পেট বিছানো রয়েছে উপত্যকায়। এর মাঝেই ধরা দেবে রঙ-বেরঙের পাহাড়ি ফুল। আর এখানেই ফুটে উঠবে হিমালয়ের সৌন্দর্য। এমন দৃশ্য ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। তাই এই মরসুমে পরিকল্পনা করতে পারেন কাশ্মীর গ্রেট লেকস ট্রেক করার।

ট্রেকিংয়ের জন্য অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হলেও, এমনটা নয় যে আপনি পারবেন না কাশ্মীর গ্রেট লেকস ট্রেক করতে। কীভাবে প্ল্যান করবেন এই ট্রেক? রইল যাবতীয় তথ্য…

কাশ্মীর গ্রেট লেকস

শ্রীনগর থেকে এই ট্রেক করতে সময় লাগে ৭ দিন। প্রথম দিন শ্রীনগর থেকে রওনা দিন সোনমার্গের কাছে অবস্থিত শিটকদি বেস ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে। সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা। প্রথম দিন আপনাকে এখানেই রাত কাটাতে হবে ক্যাম্পে। এখানে আপনার রক্তচাপ, অক্সিজেন স্তর ইত্যাদি পরীক্ষা করা হবে। ফিট থাকলে তবেই উপরে ওঠার অনুমতি পাবেন।

দ্বিতীয় দিন শিটকদি বেড়িয়ে পড়ুন নিচনাইয়ের উদ্দেশ্যে। এটি ১২ কিলোমিটারের রাস্তা। সাড়ে ছয় ঘণ্টা সময় লাগবে নিচনাইয়ের বেস ক্যাম্পে পৌঁছাতে। সব সময় চেষ্টা করবেন সূর্য ডোবার আগে বেসক্যাম্পে পৌঁছে যাওয়ার।

তৃতীয় দিন নিচনাই থেকে যেতে হবে বিষ্ণুসার। ১২,০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত বিষ্ণুসার পৌঁছাতে আপনার সময় লাগবে ৭ ঘণ্টা। হয়তো এতক্ষণ হাঁটতে কষ্ট হবে কিন্তু এই রাস্তার প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার সব ক্লান্তি কেড়ে নেবে।

বিষ্ণুসারে রাত কাটিয়ে চতুর্থ দিন বেড়িয়ে পড়ুন গদসারের উদ্দেশ্যে। বিষ্ণুসার থেকে গদসার পৌঁছাতে সময় লাগবে সাড়ে সাত ঘণ্টা। এর মাঝে পড়বে গদসার পাস। এখানে চাইলে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিতে পারেন। চতুর্থ দিন আপনাকে রাত কাটাতে হবে এই গদসারেই। গদসারই হচ্ছে এই ট্রেকিং রুটের সর্বোচ্চ গন্তব্য। এর উচ্চতা ১৩,৮৫০ ফুট। এরপর থেকে উচ্চতা আবারও কমতে শুরু করবে।

পরদিন অর্থাৎ পঞ্চম দিন আপনার গন্তব্য হবে সাতসার। গদসার থেকে সাতসারের দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটারের এবং এই পথে হাঁটাও বেশ সহজ। মাত্র ৫ ঘণ্টার মধ্যে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন সাতসারে।

সাতসারে রাত কাটিয়ে পরদিন ভোরবেলা বেড়িয়ে পড়ুন গঙ্গাবালের উদ্দেশ্যে। এখানেই আপনি শেষ রাত কাটাবেন। সাতসার থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই গঙ্গাবাল। দূরত্ব কম হলেও এই রুটটি এই ট্রেকিং সবচেয়ে কঠিন রাস্তা।
গঙ্গাবালে রাত কাটানোর পর আপনাকে নেমে আসতে হবে নারানাগে। মাত্র ছয় ঘণ্টায় আপনি নারানাগে পৌঁছে যাবেন। আর এটাই হবে আপনার ট্রেকিংয়ের শেষ দিন। আর নারানাগ হল কাশ্মীর গ্রেট লেকসের সর্বশেষ গন্তব্য। নারানাগ থেকে আপনি শ্রীনগর যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন: রডোড্রেনডন নয়, চেরি ব্লসমের জন্যই জনপ্রিয় সিকিমের টেমি টি গার্ডেন

Next Article