কেদারনাথ যাত্রা (Kedarnath Yatra) এখন বেশ জমজাট। কোভিডের চোখরাঙানি নেই, নেই ঝোড়ো বৃষ্টির পূর্বাভাস। মনোরম পরিবেশে পূণ্যার্থীরা মনের আনন্দেই ভিড় করছেন এই পবিত্র মন্দিরে (Hindu Temple)। তবে এবার যদি এই মরশুমে কেদারনাথ ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন তাহলে একচু ভেবেচিন্তে প্ল্যান করবেন। কারণ নয়া নিয়মে ভ্রমণে ছন্দপতন ঘটতে পারে।কেদারনাথ যাত্রায় নয়া নির্দেশিকা, ৮০ কেজির বেশি ওজনের যাত্রীদের প্রতি কেজি পিছু ১৫০ টাকা অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। কেদারমাথ মন্দিরটি হিমালয়ের কোলে ১২০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। হিন্দুদের অত্যন্ত পবিত্র মন্দিরটিতে পৌঁছানোর জন্য পূণ্যার্থীদের প্রায় ১৮ কিমি পথ পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করতে হয়। আর সেই রাস্তা অত্যন্ত চড়াই। ফলে বয়স্কদের মতো বটেই, সাধারণের জন্যও কষ্টকর। তবে এই কষ্ট যাতে লাঘব হয়, তার জন্য রয়েছে হেলিকপ্টার পরিষেবা।
তবে এবার থেকে হেলিকপ্টার পরিষেবা বেছে নিতে হলে মানতে হবে নয়া নিয়ম। তবে এই নয় যে, এর চেয়ে বেশি ওজনের যাত্রীরা হেলিকপ্টারে চড়তে পারবেন না। তার জন্য রয়েছে বিশেষ শর্ত। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ৮০ কিলোর বেশি ওজনের যাত্রীদের অতিরিক্ত চার্জ হিসাবে প্রতি কেজি ১৫০ টাকা করে দিতে হবে। সঙ্গে থাকবে লাগেজ। সেই লাগেজ ফ্লাইটে মাত্র ২ কেজি বহন করতে পারবেন। ওজন যদি ১২০ কেজির বেশি হয়, সেক্ষেত্রে ভাড়া ধরা হবে দু’জনের সমান।
একটি রাউন্ড ট্রিপের জন্য এই হেলিকপ্টার পরিষেবা নিতে হলে ভাড়া লাগে ৬৫০০টাতা থেকে ৮০০০টাকা। একমুখী হেলিকপ্টার পরিষেবার জন্য, ভাড়া লাগে মাত্র ৩০০০টাকা থেকে ৩৫০০টাকা। তবে চাহিদা অনুসারে দাম ওঠানামা করে৷ এই অঞ্চলে পবন হান্স, পিনাকল এয়ার এবং হেরিটেজ এভিয়েশনের মতো বেশ কয়েকটি হেলিকপ্টার সংস্থাগুলি তাদের পরিষেবা প্রদান করে। তীর্থযাত্রীরা দেরাদুন, ফাটা, সেরসি, সীতাপুর এবং গুপ্তকাশীর মতো বিভিন্ন স্থান থেকে হেলিকপ্টার পরিষেবা নিতে পারেন। কেদারনাথ হল উত্তরাখণ্ডের প্রধান চারটি চারধাম মন্দিরের মধ্যে অন্যতম। চারধাম যাত্রার সঙ্গে কেদারনাথ মন্দির যেমন দর্শন করেন, তেমন শুধুমাত্র কেদারনাথ দরশনের জন্যও ভক্তরা এখানে ভিড় করেন।
কেদারনাথ মন্দির হল ভগবান শিবের (Lord Shiva) পবিত্র ধাম, উত্তরাখণ্ড চারধাম যাত্রার অন্যতম অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই মন্দিরটি এমন এক জায়গায় অবস্থিত, যেখানে চরম ঠান্ডার কারণে বছরে ৬ মাস মন্দিরের দরজা বন্ধ থাকে। ভাইফোঁটা, দীপাবলির সময় মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর এপ্রিলের শেষের দিকে বা মে মাসের শুরুতে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ফের ভক্তদের জন্য মন্দির খুলে দেওয়া হয়।