মরশুমের প্রথম তুষারপাত। খুশির জোয়ার পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয়দের মধ্যে। কিন্তু কোথাও গিয়ে বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করছে হিমাচলের আবহাওয়া। তুষারপাতের জেরে মধ্য নভেম্বরেরই সাদা বরফের চাদরে মুখ ঢেকেছে হিমাচল প্রদেশ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর একটু আগেই শীতে এসেছে পাহাড়ে। কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। যদিও ফলাফল আসা এখনও বাকি। এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়েছিল হিমাচলের এক দৃশ্য। এক হাঁটু বরফ ভেঙে ভোট দিতে যাচ্ছে স্থানীয়রা। নভেম্বরেই হিমাচল তুষারে মুড়ে যাবে, এটা ভাবেনি কেউই। কিন্তু এই তুষারপাতের জেরে বন্ধ করা হল হিমাচলের ১০০টিরও বেশি রাস্তা।
বছরের এই সময়ে সাধারণত তুষারপাত দেখা যায় না পাহাড়ি হিমাচলে। কিন্তু এ বছর নভেম্বরের গোড়ার দিক থেকেই তুষারপাতের ঘটনা দেখা গিয়েছে হিমাচল প্রদেশে। দুর্ঘটনা এড়াতেই ১০০টিরও বেশি রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে হিমাচল প্রদেশে। লাহৌল ও স্পিতি জেলার প্রায় ৯০টি রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ নং জাতীয় সড়ক এবং ৩০৫ নং জাতীয় সড়ক রয়েছে যা রোটাং পাস ও জালোরি পাসে। এছাড়াও কুল্লুতে ৬টি রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও কংরাতে ৩টি, চাম্বাতে ২টো এবং মান্ডিতে ১টা রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে।
লাহৌল ও স্পিতি জেলার আদিবাসী এলাকায় তিন্দি পাঙ্গি রাস্তায় ধস নেমে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বুধবার সকালে ধস নেমে ৭০ কিলোমিটার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যদিও এই রাস্তায় কোনও দুর্ঘটনার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনা এড়াতেই হিমাচলের এই সড়কগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া হিমাচলের রিলসে ভরে গেলেও হাড় কাঁপাচ্ছে ঠান্ডা। তুষারপাতের জেরে হিমাচলের তাপমাত্রাও কমে গিয়েছে। লাহৌল ও স্পিতি জেলার কেলং এখনকার শীতলতম জায়গা। কেলংয়ের তাপমাত্রা এখন ৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে, কিন্নর জেলার কল্পায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে মাইনাস ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
শীতের সময় হিমাচলের মানালি, নারকান্দা, কুফরি, শিমলা, ডালহৌসি এবং ধর্মশালায় পর্যটকদের ভিড় বেশি হয়। এখানেও এখন তাপমাত্রা খুব কম। কোথাও ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আবার কোথাও ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দু’দিন এখনও এমন আবহাওয়াই থাকবে বলে জানিয়েছে সিমলা আবহাওয়া দফতর। হিমাচলের তুষারপাত পর্যটকদের মুখে হাসি আনলেও পাহাড়ের জনজীবনের কাছে কষ্টকর হতে পারে।