ভ্রমণপিপাসুরা সব সময় মুখিয়ে থাকেন বেড়াতে যাওয়ার জন্য। সারা বছর টুকটুক করে ভারত ভ্রমণ করলেও বর্ষায় বেড়াতে যাওয়ার প্রসঙ্গ এলে অনেক কিছু চিন্তাভাবনা করতে হয়। আসলে বর্ষায় ভয় থাকে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের। ভূমিধস, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এই সব কিছুর সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এমনও কিছু পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে যেগুলো বর্ষাকালে অপরূপ হয়ে ওঠে। এখানে বেড়াতে গেলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা কম। তেমনই পাঁচটি জায়গার খোঁজ রইল আপনার জন্য।
মহাবলেশ্বর, মহারাষ্ট্র- মুম্বাইয়ের বৃষ্টি ভোগালেও মহাবলেশ্বর অপরূপ সুন্দর হয়ে ওঠে বর্ষাতে। জুলাই, অগস্ট মাসে বেড়াতে যাওয়ার জন্য আদর্শ ডেস্টিনেশন এই মহাবলেশ্বর। এখানে আপনি ভেন্না লেক, চিনামানস লেক, লিংমালা জলপ্রপাত, ধোবি জলপ্রপাত, উইলসন পয়েন্ট, প্রতাপগড় ফোর্ট ঘুরে দেখতে পারেন। পুনে জংশন থেকে মহাবলেশ্বরের দূরত্ব প্রায় ১১৫ কিলোমিটার। আর যদি বিমানপথে যান তাহলে এর দূরত্ব ১২৬ কিলোমিটার।
চেরাপুঞ্জি, মেঘালয়- ভারতের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয় এই রাজ্যেই। বর্ষাকালে এরই সৌন্দর্য আরও দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। মেঘালয় ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে বাকেটলিস্টে রাখবেন চেরাপুঞ্জি ও মৌসিনরামকে। গারো ও খাসির কোলে লুকিয়ে থাকা জলপ্রপাতগুলো আরও মোহময়ী হয়ে ওঠে বর্ষায়। পাহাড়, ঝরণা, লেকে পরিপূর্ণ চেরাপুঞ্জি ভারতের অন্যতম রোম্যান্টিক জায়গায়। তাছাড়া এখন দাওকির স্বচ্ছতা দেখার জন্য প্রচুর মানুষ ভিড় করেন মেঘালয়ের মাওলিলং গ্রামে। ৫ দিনের ছুটিতে অনায়াসে ঘুরে নিতে পারবেন মেঘালয়।
কোড়াইকানাল, তামিলনাড়ু- পশ্চিমঘাট পর্বতমালার কোলে অবস্থিত কোড়াইকানাল ‘দ্য প্রিন্সেস অফ হিল’ নামে পরিচিত। পশ্চিমঘাটের এই পর্যটন কেন্দ্রে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশ ভাল। কোড়াই লেককে ঘিরে গড়ে উঠেছে শৈলশহর। বর্ষাকালে কোড়াইকানাল শহরের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। কাছেই রয়েছে পাইন ফরেস্ট যা বর্ষায় আরও সুন্দর দেখায়। মাদুরাই বিমানবন্দর থেকে এই শৈলশহরের দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার। আর ট্রেনে চেপে গেলে আপনাকে নামতে হবে কোড়াইকানাল রোড। সেখান থেকে এই শৈলশহর মাত্র ৮০ কিলোমিটার।
কুর্গ, কর্ণাটক- কর্ণাটকের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হল কুর্গ। এর সৌন্দর্যের জন্য এটিকে ভারতের ‘স্কটল্যান্ড’ বলা হয়। যদিও কুর্গে সারা বছর বেড়াতে যাওয়া যায়। তবু বর্ষায় এর অন্যরূপ ফুটে ওঠে। কুর্গের শান্ত, শীতল পরিবেশ মন কেড়ে নেয় ছোট থেকে বড় সবার। প্রাকৃতিক পরিবেশ ছাড়াও কুর্গের জনপ্রিয়তার পিছনে রয়েছে এখানের জলপ্রপাত। হাওড়া থেকে ট্রেনে করে মাইসোর। সেখান থেকে গাড়ি করে পৌঁছে যান কুর্গ। বিমানে করে গেলে আপনাকে নামতে হবে ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দরে। সেখান থেকে ১৩৬ কিলোমিটারের পথ হল কুর্গ।