AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kashmir: মানবিকতার মুখ! পর্যটকের সোনার গয়না ফেরত দিতে ৭০ কিমি পথ পার ২ কাশ্মীরি গাইডের

যেখানে দুষ্কৃতী, সন্ত্রাসবাদীদের আতঙ্ক সর্বত্র, সেখানে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই প্রকৃতিকে হাতে নাগালে পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, সেখানেই ঘটে গিয়েছে এক মন ভাল করা ঘটনা। দুই কাশ্মীরির গল্প।

Kashmir: মানবিকতার মুখ! পর্যটকের সোনার গয়না ফেরত দিতে ৭০ কিমি পথ পার ২ কাশ্মীরি গাইডের
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2021 | 12:21 PM
Share

ভ্রমণে গেলে সবই যে সুন্দর সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়, তা কিন্তু একেবারেই নয়। অনেকে অনেক কিছু খুইয়েও আসেন। বাজে অভিজ্ঞতার কারণে নানান মতামতও করেন তাঁরা। তবে সব বাজের মধ্যে ভাল অভিজ্ঞতাও হয়। এখনও হৃদয়বান মানুষ এই পৃথিবীতে রয়েছেন বলেই সুন্দর রয়েছে এ বিশ্ব। অন্ধকারের মধ্যেও রয়েছে আলোর দিশা। কারণ মানুষের ভাল কাজের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সেই স্থানের পরিচয়। যেখানে দুষ্কৃতী, সন্ত্রাসবাদীদের আতঙ্ক সর্বত্র, সেখানে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই প্রকৃতিকে হাতে নাগালে পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন, সেখানেই ঘটে গিয়েছে এক মন ভাল করা ঘটনা। দুই কাশ্মীরির গল্প। নাম রফিক ও আফরোজ। পেশায় তাঁরা টাট্ট ঘোড়ার রক্ষক। শীতের মরসুমে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া ব্যবসার জন্য পেহেলগাঁওতে গাইড ও ঘোড়সওয়ার করানোর কাজ করেন তাঁরা।

এমন পেশায় যুক্তদের সম্বন্ধে বেশি প্রত্যাশা করেন না সাধারণ পর্যটক। তবুও মনুষ্যত্বই তাঁদেরকে সকলের কাছে পরিচয় করিয়ে দিল। এক পর্যটকের হারিয়ে যাওয়া দামি সোনার গয়না ফেরত দিতে ৭০ কিমি পথ পাড়ি দেন ওই দুই যুবক। পেহেলগাঁও থেকে শ্রীনগর। অলঙ্কার ফেরত দিতে পেহেলগাঁও থেকে শ্রীনগর পথ পাড়ি দিয়ে সুরাতের ওই পর্যটকের হোটেলে পৌঁছে গিয়েছিলেন রফিক ও আফরোজ।

ঘটনা হল, পেহেলগাঁওয়ে বেড়াতে গিয়ে ঘোড়া চড়ার সময় গায়ের গয়না হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজার পরও সেখান থেকে পাওয়া যায়নি ওই দামী অলঙ্কার। আশা হারিয়ে তাঁরা শ্রীনগরে ফিরে আসেন। সুরাতের ওই পর্যটকের কথায়, ‘আমাদের ক্যাব চালক তাহির ও বিলাল অক্লান্ত পরিশ্রম করেও সেই জিনিস খুঁজে পাননি। পরে দুই টাট্টু ঘোড়া রক্ষকের ফোন নম্বর নিয়ে রাখতে বলেছিলেন। আমরা পরে যখন তাঁদের কল করি, তখন দুজনেই ৭০ কিমি পথ পেরিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র জিনিস ফেরত দিতে এসেছিলেন।’ তাঁদের এই বড় মনের পরিচয় পেয়ে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন গুজরাতের ওই বাসিন্দা।

মনুষ্যত্ব ও বিশুদ্ধ সততার কাহিনি এই প্রথম ঘটেনি। মার্চ মাসে এক অটো চালকের একটি ফোন ও মানিব্যাগ ফেরত দিয়েছিলেন। তাঁর প্রচেষ্টায় প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন ওই ব্যাক্তি। তারপরে কেরালার একজন ৬৫ হাজার টাকা-সহ মানিব্যাগ হারিয়ে ফেলেছিলেন। পরে রাস্তা থেকে টাকাভরতি মানিব্যাগ থানায় জমা দিলে পুলিশ মানিব্যাগের মালিককে খুঁজে পেয়েছিলেন। সেই মানিব্যাগের মালিক একজন রিক্সাচালক ছিলেন। এমন সহৃদয় ব্যক্তিদের এমন কীর্তিতেই এখনও অনুপ্রেরণা জোগায়।

আরও পড়ুন: Travel Tips: হোটেল বুক করার আগে যা যা দেখে নেওয়া দরকার, তার লিস্টটি দেখে নিন একনজরে…