খুব সহজেই বানিয়ে ফেলুন চিংড়ি মাছের পাতুরি, ইলিশ, ভেটকিকেও টেক্কা দেবে এই পদ
মূলত আমরা চিংড়ি মাছের ভাপা কিংবা চিংড়ির পাতলা ঝোল খেয়ে থাকি। অনেকে আবার কচু ও পুঁই শাকেও চিংড়ি দিয়ে থাকে। তবে চিংড়ি মাছের পাতুরি কিন্তু তৈরি করা বেশ সহজ। এটা সময়ও লাগবে বেশ কম। রইল মা-ঠাকুমাদের রান্নাঘর থেকে তুলে আনা এই সুস্বাদু রেসিপি।

পাতুরি বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে ইলিশ পাতুরি, ভেটকি পাতুরির কথা। কিন্তু জানেন কি মা-ঠাকুমারা চিংড়ি দিয়েও পাতুরি বানাতেন, যা কিনা টেক্কা দিতে পারে ইলিশ, ভেটকিকেও।
মূলত আমরা চিংড়ি মাছের ভাপা কিংবা চিংড়ির পাতলা ঝোল খেয়ে থাকি। অনেকে আবার কচু ও পুঁই শাকেও চিংড়ি দিয়ে থাকে। তবে চিংড়ি মাছের পাতুরি কিন্তু তৈরি করা বেশ সহজ। এটা সময়ও লাগবে বেশ কম। রইল মা-ঠাকুমাদের রান্নাঘর থেকে তুলে আনা এই সুস্বাদু রেসিপি।
যা যা লাগবে—
ছোটো চিংড়ি মাছ ২৫০ গ্রাম, বড়ো আলু ২ টি, পটল ৫টি, বড়ো পেঁয়াজ ২ টি, কলাপাতা ২টি, রসুন ৩ কোয়া, কাঁচালঙ্কা ৬-৭টি, সরষে ১ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়ো চা চামচ, সরষের তেল ৪ টেবিল চামচ, নুন স্বাদমতো।
এভাবে তৈরি করুন—
চিংড়ি মাছগুলোর খোসা ছাড়িয়ে, ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। সব সবজি লম্বালম্বিভাবে পাতলা করে কেটে নিন। পেঁয়াজ ও রসুন কুচিয়ে আলাদা রাখুন। সরষের সঙ্গে দুটো কাঁচালঙ্কা, ও সামান্য নুন দিয়ে মিহি করে বেটে নিন। হলুদগুঁড়ো, লঙ্কা, আন্দাজমতো নুন, ২ টি কুচোনো কাঁচালঙ্কা, ৩ টেবিল চামচ তেল দিয়ে চিংড়ি মাছ ও সবজিসমেত মেখে নিন। আঁচে তাওয়া বসিয়ে একটা কলাপাতা দু-ভাগ করে, তেল মাখিয়ে তাওয়ায় রাখুন। পাতার ওপর সমানভাবে চিংড়ির মিশ্রণ ছড়িয়ে দিন। আর-একটা কলাপাতা অর্ধেক করে, সেটাতেও তেল মাখিয়ে অন্যটার উপর ঢেকে, ঢেকচির ঢাকনা দিয়ে তাওয়া ঢেকে দিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট ঢাকা দেওয়া অবস্থায় কম আঁচে রান্না হতে দিন। আঁচ থেকে তাওয়া নামিয়ে কাপড় দিয়ে ডেকচির ঢাকনা চেপে চওড়া খুন্তি দিয়ে নীচের কলাপাতা চেপে পুরোটা উলটে দিন, যাতে নীচের পাতা ওপরে আসে ও ওপরের পাতা নীচে যায়। আবার তাওয়াটা আঁচে দিন। উলটে দেবার সময় সবজি যদি কিছু বেরিয়ে পড়ে তাহলে সেগুলো ভেতরে ঢুকিয়ে দিন।
