নামীদামি শ্যাম্পু-কন্ডিশনার ব্যবহার করলেই চুল ভাল থাকে এমন নয়। অনেক সময় আপনার খাদ্যাভ্যাসের কারণেও চুলের বারোটা বাজে। ভুল খাদ্যাভ্যাস চুলের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। পুষ্টির অভাব থেকে শুরু করে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া—ডায়েট সংক্রান্ত বিভিন্ন কারণ দায়ী হতে পারে চুল পড়ার পিছনে। সেগুলো কী-কী, দেখে নিন এক নজরে।
১) ভিটামিন এ চুল ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এই পুষ্টির ঘাটতি থাকলে চুল পড়া বাড়ে। একইভাবে, আপনার দেহে যদি ভিটামিন এ-এর মাত্রা ব্যাপক ভাবে বেড়ে যায়, তখনও চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে।
২) যত বেশি ভাজাভুজি খাবার খাবেন, শরীরে ফ্যাট প্রবেশ করবে। এই ফ্যাট মহিলাদের দেহে টেস্টোস্টেরন হরোমনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এর জেরে চুল পড়া বাড়ে। তাছাড়া ভাজাভুজি খাবারে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। এগুলো দেহে অক্সিডেটিভ চাপ ও শারীরিক বাড়ায়। এগুলো চুল পড়ার জন্য দায়ী।
৩) সুন্দর ও মজবুত চুল গঠনের জন্য প্রয়োজন প্রোটিন। প্রোটিনের মধ্যে অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। চুলের ফলিকলের প্রোটিন দরকার। তবেই চুল পড়া বন্ধ হবে। তাই আপনার ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন আছে, সে দিকে খেয়াল রাখুন।
৪) যে সব খাবার তৈরিতে কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা হয়, সেগুলো এড়িয়ে চলুন। চিনি যুক্ত খাবার দেহে ইনসুলিন হরমোনের তারতম্য নষ্ট করে দেয়। এর জেরেও চুলের ফলিকলগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। তাই বেকারি আইটেম ও প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৫) চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক ও আয়রন জরুরি। এই দুই পুষ্টি কেরাটিন গঠনে সাহায্য করে, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। আপনার খাদ্যতালিকায় যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে জিঙ্ক ও আয়রন না থাকে, তাহলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়বে।
৬) মজবুত হাড় ও দাঁত গঠনের জন্য যেমন ক্যালশিয়াম জরুরি, একইভাবে এই পুষ্টি চুল পড়াকে প্রতিরোধ করে। দেহে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি থাকলে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং চুল পড়া বাড়ে।
৭) চুলের স্বাস্থ্য গঠনের জন্য অপরিহার্য ভিটামিন ডি। এই পুষ্টি ঘাটতি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। তার সঙ্গে চুল পড়ার সমস্যা বাড়িয়ে তোলে।
যে সব খাবার চুলের জন্য উপযোগী:
সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর চুলের জন্য পনির, টক দই, ডাল, ফ্ল্যাক্স সিড, আমন্ড, আখরোট, ডিম, সবুজ শাকসবজি, লেবুজাতীয় ফল, দানাসস্য ইত্যাদি রাখতে পারেন।