অ্যালোভেরা এমনই একটি উপাদান যা বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়। আবার বাড়িতেও অল্প যত্ন করলেই ভাল ডিভিডেন্ড দেয় এই গাছ। স্বাস্থ্য এবং ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। অ্যালোভেরার রস খাওয়া থেকে শুরু করে আঘাত লাগলে এবং ক্ষতস্থানে লাগানো পর্যন্ত, এটি স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং চুলের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
অ্যালোভেরা অনেক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। আয়ুর্বেদে, অ্যালোভেরা অনেক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নানা ভাবে ব্যবহার করতে পারেন এই গাছ। অ্যালোভেরা কোন কোন কাজে লাগে? দেখে নিন এই প্রতিবেদনে।
প্রাকৃতিক জিনিসের ব্যবহার আপনার স্বাস্থ্য, ত্বক এবং চুলের জন্য বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে ক্ষতির সম্ভাবনাও খুব কম, সেই কারণেই চিরকাল এই সব উপাদান অনেক বেশি ব্যবহার করতে বলা হয়।
কী উপকার হয়?
১। যাদের ত্বক বেশি শুষ্ক। অ্যালোভেরা তাদের জন্যও একটি চমৎকার উপাদান। এর জন্য অ্যালোভেরা জেলের সাথে মধু, গোলাপ জল এবং দুই থেকে তিন ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে লাগান। এতে ত্বক নরম হয় এবং শুষ্ক ভাব কমে।
২। খুশকিও চুল পড়ার একটি বড় কারণ। এ থেকে মুক্তি পেতে, দই এবং লেবুর সাথে অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন। এছাড়াও, যেকোনো মৃদু স্ক্রাবের সাথে কিছু অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন এবং তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি খুশকিও কমায়। সপ্তাহে একবার এটি করলে আপনি দ্রুত খুশকি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৩। অ্যালোভেরার হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের পাশাপাশি চুলকেও আর্দ্রতা প্রদান করে। উপকারিতা বাড়ানোর জন্য, দই এবং ডিমের সাথে অ্যালোভেরা মিশিয়ে চুলে লাগান। এই হেয়ার প্যাকটি লাগানোর পর, আপনি প্রথমবারেই দারুন ফলাফল পাবেন।
কী ভাবে ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়?
ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা সকলের পছন্দ। ভিটামিন ই ক্যাপসুলের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে মুখ থেকে ঘাড়ে লাগান এবং ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর মুখ পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই প্যাকটি ব্যবহার করলে কয়েক দিনের মধ্যেই মুখের দাগ এবং ব্রণ কমতে শুরু করে এবং ত্বক পরিষ্কার হয়ে যায়। এটি ত্বককেও টানটান করে।