Sugar: এক সপ্তাহ চিনি ছুঁয়েও দেখবেন না…, কত লাভ হতে পারে জানেন?
Life Style Tips: মাত্রাতিরিক্ত কোনও কিছুই শরীরের পক্ষে ভালো নয়। অনেক সময় এটা জেনেও নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। চা-কফিতে চিনি খাওয়াটাও সাধারণ ব্যাপার। অন্যান্য মিষ্টি দূর অস্ত, একটা সপ্তাহ চিনি না খেয়ে দেখুন। কী হতে পারে? অনেক পরিবর্তন।

অনেকেই মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন। রাত-দিনের ব্যাপার নেই। কারও ক্ষেত্রে শুধু পছন্দ বলা ভুল, অভ্যেসও বলা যায়। রাতের খাবারের পর একটু মিষ্টি না খেলে মনটা যেন আনচান করে। মনে হয়, কিছু একটা মিসিং। ফ্রিজে সবসময়ই মিষ্টি রাখাই থাকে। সেটা রসগোল্লা, সন্দেশ হোক কিংবা চকোলেট। তবে মাত্রাতিরিক্ত কোনও কিছুই শরীরের পক্ষে ভালো নয়। অনেক সময় এটা জেনেও নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। চা-কফিতে চিনি খাওয়াটাও সাধারণ ব্যাপার। অন্যান্য মিষ্টি দূর অস্ত, একটা সপ্তাহ চিনি না খেয়ে দেখুন। কী হতে পারে? অনেক পরিবর্তন।
প্রয়োজনের তুলনায় মিষ্টি খাওয়া ধূমপানের মতোই ক্ষতিকারক। কিংবা বেশি পরিমাণে ফ্যাট খেয়ে নেওয়ার মতো। এর ফলে ওজন বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস, হৃদরোগের মতো সমস্যাও হতে পারে। যদি একটা সপ্তাহও চিনি ছাড়া থাকতে পারেন, সত্যিই কি শরীরে কিছু পরিবর্তন দেখা যাবে।
বালাজি অ্যাকশন মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের সিনিয়র চিকিৎসক ডাঃ অরবিন্দ আগরওয়ালের কথায়, কেউ যদি এক সপ্তাহ ‘নো সুগার’ ডায়েট করা যায়, শরীরে নানা ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যেতে পারে। শুরুতে হয়তো একটু ক্লান্তি, মেজাজ রুক্ষ থাকা, মাথাব্যাথার মতো পরিস্থিতি হতে পারে। কারণ, শরীরে যখন মিষ্টির অভ্যেস তৈরি হয়ে যায়, হঠাৎ করে তা বন্ধ হলে সাময়িক সমস্যা হওয়ারই কথা। একবার যদি এই মিষ্টি ছাড়া যায়, ওজন বৃদ্ধি আটকানো, ব্লাড সুগার লেভেল ঠিক করার মতো অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন হতে পারে।
চিকিৎসক আরও বলেছেন, ‘নো সুগার’ ডায়েটের ফলে পেট ব্যাথা, গ্যাসের সমস্যা, অম্বলের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। ত্বক পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। এমন ঘুমও ভালো হয়। আমেরিকান ডায়েটারি গাইডলাইন ২০২০-২০২৫ অনুযায়ী, দিনে মোট ক্যালোরির ১০ শতাংশের বেশির উৎস যেন চিনি না হয়। নো সুগার ডায়েটে বরং যোগ করা যেতে পারে সবুজ শাক-সব্জি, তাজা ফল, মাছ, ডিম ইত্যাদি। এর ফলে শরীরে প্রয়োজনীয় সব কিছুই মিলবে।
