তবে একটু সতর্ক হলেই হয়তো বিপদ এড়ানো সম্ভব। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে নিজের চারপাশটা ভাল করে চিনে এবং জেনে নেওয়া প্রয়োজন। তাহলেই ডিসেম্বরের উইকেন্ডগুলোয় বেরিয়ে পড়া যাবে ছোট্ট ফ্যামিলি ট্রিপে।
কী কী করবেন
১। যে জায়গায় যেতে চান সেখানে কোভিড পরিস্থিতি কেমন, সংক্রমণ কতটা ছড়িয়েছে, চিকিৎসা ব্যবস্থা কেমন এই সবকিছুর ব্যাপারে ভাল করে খোঁজ নেওয়া দরকার। এখন আরোগ্য সেতু অ্যাপও আছে। ফোনে ইন্সটল করে নিন সেই অ্যাপ্লিকেশন।
২। বাড়ির আশেপাশে মানে পাড়া-প্রতিবেশীর কারও করোনা হলে একটু বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বেড়াতে যাওয়ার আগে সতর্কতার খাতিরেই একবার টেস্ট করিয়ে নেওয়া ভাল।
৩। মাস্ক বা মুখোশ এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী। অনেকে অবশ্য করোনার প্রভাব শুরু হওয়ার আগে থেকেই মাস্ক পরেন। মূলত দূষণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহার করতেন অনেকে। বাইক চালানোর সময় মাস্কের ব্যবহার করতেন চালকরা। তবে এখনকার যা পরিস্থিতি তাতে সকলের ক্ষেত্রেই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই মাস্ক পরলে একটা দমবন্ধ অবস্থা তৈরি হচ্ছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের মাস্ক পরানো কার্যত যুদ্ধের সমান। বাচ্চারা বারবার মাস্ক খুলে ফেলে। যেটা এই পরিস্থিতিতে যথেষ্ট বিপজ্জনক। তাই বেড়াতে যাওয়ার আগে বাচ্চাদের মাস্ক পরে থাকা অভ্যাস করাতে হবে।
৪। ছোট ট্রিপ হোক বা বড় ট্যুর, ফার্স্ট-এড কিট সঙ্গে রাখা সবসময় জরুরি। আর এই অতিমারী পরিস্থিতিতে সেই কিটে অবশ্যই রাখুন স্যানিটাইজার এবং মাস্ক। স্প্রে স্যানিটাইজার বা লিকুইড দু’রকমই রাখা ভাল। আর এক্সট্রা মাস্কও সঙ্গে রাখবেন। এছাড়া টুকটাক ওষুধপত্রও রাখা দরকার। তবে অযথা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মুঠো মুঠো ওষুধ খাবেন না। চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ না নিলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
৫। রাত্রিযাপনের পরিকল্পনার থাকলে খোঁজখবর নিয়ে হোটেল বুক করুন। সঙ্গে বাচ্চা থাকলে অবশ্যই হাইজিনের দিকে খেয়াল রাখবেন। বাইরের খাবার না খাওয়াই ভাল। একান্ত প্রয়োজনে বড়রা খেতে পারেন। তবে বাচ্চাদের বাইরের খাবার এই পরিস্থিতিতে না দেওয়াই ভাল।
৬। যদি গাড়ি করে অর্থাৎ ‘বাই রোড’ গন্তব্যে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে তাহলে নিজে ড্রাইভ করা সবচেয়ে নিরাপদ। চেষ্টা করবেন রাস্তাঘাটে বাথরুমে না যেতে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডায়পার ব্যবহার করা যেতে পারে। আর খুব প্রয়োজন হলে রাস্তাঘাটে বাথরুমে গেলেও হাইজিন মেনে চলুন। মহিলারা অবশ্যই সঙ্গে পি-সেফ, টিস্যু, লিকুইড সোপ রাখবেন। যদি দূরে কোথাও যান তাহলে সামর্থ্য থাকলে অবশ্যই প্লেনে যাতায়াত করুন। তাতে পয়সা একটু বেশি খসলেও সুরক্ষা বজায় থাকবে।