ভারতীয় রেলের বিকাশ ধারা অব্যাহত। কাশ্মীর থেকে কন্যা কুমারী এক সূত্রে গাথাই ভারতীয় রেলের মূল উদ্দেশ্য। সেই কারমেই প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্তে শুরু হচ্ছে নতুন নতুন রেল পরিষেবা। পাতা হচ্ছে নতুন রেল লাইনও। এমনকি কাশ্মীরের দুর্গম জায়গায় রেল লাইন পাতার কাজ চলছে। বন্দে ভারতের মতো প্রিমিয়াম ক্লাস ট্রেন অন্তর্ভুক্তি হয়েছে সেই তালিকায়। কম খরচে, কম সময়ে অনেকটা দূরত্ব অতিক্রম করা যায় বলে প্রায় ৯০ শতাংশ ভারতবাসীর প্রথম পছন্দ রেল। আবার কেউ কেউ শুধু যাত্রা পথের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ট্রেনে করে যাত্রা করতে পছন্দ করেন।
প্রতিদিন নতুন ট্রেন, নতুন রেল লাইন চালু হওয়া, নতুন স্টেশন চালু হওয়ার খবর হামেশাই পাই আমরা। কিন্তু কখনও শুনেছেন পুরনো স্টেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছে? আপনি হয়তো বলবেন, রেল স্টেশন আবার বন্ধ হয় নাকি? এটা কি দোকান না পুরনো ফ্যান? কিন্তু বাস্তবটা কিন্তু একদম অন্য। রেল সূত্রে খবর, স্টেশন পুরনো হয়ে গেলে তাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে তার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে।
রেলওয়ে মন্ত্রক সূত্রে খবর যদি কোনো স্টেশন অব্যবহারযোগ্য বলে বিবেচিত হয় বা যাত্রী সুবিধার দিক থেকে সেই স্টেশন উপযুক্ত বলে বিবেচিত না হয়, তখন রেলওয়ে প্রশাসন সেটি বন্ধ করে দিতে পারে।
যেকোন হল্ট স্টেশনে (হল্ট গ্রেড ১ থেকে ৩-এর মধ্যে হলে) রেলওয়ে সেই স্টেশন বন্ধ করতে পারে। তবে যদি সেই স্টেশন শাখা লাইন বা কর্ড লাইনের হয় এবং প্রতিদিন যাত্রীর সংখ্যা ২৫ জনের কম হয় তবে সেই স্টেশন চাইলে বন্ধ করে দিতে পারে। প্রধান লাইন বা মেন লাইনের কোনও স্টেশন হলে, যদি প্রতিদিন ৫০ জনের কম যাত্রী থাকে তা হলে সেই স্টেশন বন্ধ করে দিতে পারে।
প্রসঙ্গত, অব্যবহৃত স্টেশন চিহ্নিত করে তা বন্ধ করা একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ২০২০-২১ সালেই, অন্ধ্র প্রদেশে ৭টি স্টেশন ব্যবহার না হওয়ার কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।