ত্বক তৈলাক্ত হোক বা স্বাভাবিক, স্কিন কেয়ারে থাকেই গোলাপ জল। তবু এই প্রসাধনী গুরুত্ব পায় না। বলতে পারেন আন্ডাররেটেড। এই গরমে যখন আপনার ত্বক জ্বলছে, নিমেষের মধ্যে ত্বকে শীতলতা এনে দিতে পারে গোলাপ জল। ত্বকের শুষ্কভাব থেকে শুরু করে ব্রণ, জ্বালাভাব কমাতে সহায়ক গোলাপ জল। এই গরমে গোলাপ জল ব্যবহার না করলে আপনিই পস্তাবেন।
ত্বকের প্রদাহ কমায়: গরমে ত্বকের সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা যায়। রোদে বেরোলেই ত্বক ঝলসে যাচ্ছে। তার সঙ্গে লালচে ভাব, প্রদাহ বাড়তে থাকে। অনেকের রোদ, ঘামে ত্বকের উপর র্যাশ বেরোয়। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে গোলাপ জল। গোলাপ জলের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ত্বকের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রাখে: ত্বকের যত্নে গোলাপ জল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফেস টোনার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গোলাপ জল ত্বকের পিএইচ ব্যালেন্স বজায় রাখতে সাহায্য করে। গোলাপ জলের মধ্যে অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এতে ত্বক সংবেদনশীল হয়ে ওঠে না। পাশাপাশি চুলকানি, জ্বালাভাব ও র্যাশের সমস্যা কমে।
সংক্রমণ প্রতিরোধ করে: গোলাপ জলের মধ্যে অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিয়মিত ত্বকে গোলাপ জল ব্যবহার করলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। গোলাপ জলের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে ত্বকের সমস্যা কমায়। এতে বার্ধক্যের লক্ষণও দৃশ্যমান হয় না।
গরমে যে উপায়ে গোলাপ জল ব্যবহার করবেন:
গোলাপ জল অত্যন্ত হালকা। সবচেয়ে সুরক্ষিত প্রসাধনী পণ্যের তালিকায় রাখতে পারেন গোলাপ জলকে। গরমে রোজ ব্যবহার করা যায় গোলাপ জল এতে গরমে ত্বকের সমস্যা আপনার ধারে কাছে ঘেঁষবে না। কিন্তু রোজ কোন উপায়ে গোলাপ জল ব্যবহার করবেন? রইল টিপস।
টোনার: মুখ ধোয়ার পর গোলাপ জল সারা মুখে লাগিয়ে নিন। টোনার হিসেবে দিনে দু’বার মুখে গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।
ফেস মিস্ট: রোদে, ঘামে ত্বকের অস্বস্তি বাড়ছে? মুখে গোলাপ জল স্প্রে করে দিতে পারেন। এতে ত্বকে তাৎক্ষণিক সতেজতা পেয়ে যাবেন।
ফেসপ্যাক: মুলতানি মাটি, চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে মাখুন। গরমে ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিম পাতার সঙ্গে গোলাপ জল বেটেও মুখে মাখতে পারেন। এতে ব্রণ, অতিরিক্ত তেল, জ্বালাভাব, চুলকানি, র্যাশ ও প্রদাহের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।