রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পেতে চলে যান বিশ্বের ‘সবচেয়ে রহস্যময়’ জায়গাগুলিতে!

aryama das |

Apr 11, 2021 | 6:20 PM

মাথা দিয়ে যুক্তি সাজানোর জন্য এই জায়গাগুলি আবিষ্কার করা হয়নি। যেখানে গেলে অবাক করা চোখ দিয়ে শুধু তাকিয়ে থাকতে হয়। রোমাঞ্চকর ট্রাভেলের জন্য বেছে নিতে পারেন এই জায়গাগুলিকে...

রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পেতে চলে যান বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় জায়গাগুলিতে!
বিশ্বের 'সবচেয়ে রহস্যময়' জায়গা

Follow Us

পৃথিবীতে কত অজানা জিনিস ছড়িয়ে রয়েছে, তা অধিকাংশের অজানা। বেড়াতে যাব বললেই তো আর এই মুহূর্তে বেড়িয়ে আসা সম্ভব নয়। কারণ সারা বিশ্বেই এখন করোনার আতঙ্কে ঘরবন্দি। কিন্তু অফিসের কাজের চাপ বেড়ে চলেছে বাড়িতেই। তার মধ্যেই বাড়ির বাইরে পা রাখতে মনকে ভাসিয়ে দিতে কে না চায়? পৃথিবীর নানা প্রান্তেই ছড়িয়ে রয়েছে নানান অজানা ও অবাস্তব জিনিসপত্র। যা বিজ্ঞানের যুক্তি কাজে লাগে না। শুধু চোখ দিয়ে সেইসব অবিস্মরণীয় ও অবাস্তবকে দেখে যেতে হয়। সেইসব অলৌকিক ও রোমাঞ্চকার ডেস্টিনেশনের সন্ধানই এখানে দেওয়া রইল…

ক্রুকড ফরেস্ট, পোল্যান্ড

পোল্যান্ডের ছোট্ট ও অদ্ভূত গাছে ঘেরা জঙ্গল। সেখানে সব গাছ মাটির সঙ্গে ৯০ ডিগ্রি বেঁকে ফের সোজা হয়ে আকাশ ছুঁয়েছে। এই অদ্ভূত ঘটনার কারণ এখনও অজানা। একটা দুটি গাছ নয়, জঙ্গলের প্রায় সব গাছই এইভেবে বেড়ে উঠেছে। জানা যায় যে, ১৯৩০ সালে পোল্যান্ডের এই ভুতুরে জঙ্গলের গাছগুলি রোপন করা হয়েছিল। তার সাত থেকে ১০ বছর পর গাছগুলি এমন আকার নিতে শুরু করে। বিজ্ঞানীরা মনে করে, ওই এলাকায় মহাকর্ষীয় টানের কারণে গাছগুলি এইভাবে আঁকাবাঁকা হয়ে উপরে উঠেছে।

ইটারনাল ফ্লেম ফলস, ইউনাইটেড স্টেটস

নিউ ইয়র্কের চেস্টনাট রিজ পার্কের শেষ প্রান্তে এক গোপন ও আশ্চর্য জিনিস আবিষ্কার হয়। যেখানে প্রাকৃতিক গ্যাস নির্গত হওয়ায় আগুনের শিখা জ্বলতে দেখা যায়। এ আগুন কখনও নিভতে দেখেনি কেউ। আগুনের উপরে পাথরের গা বেয়ে বয়ে চলেছে শান্ত জলরাশি।

ব্লাড ফলস, আন্টার্কটিকা

টেলর গ্লেসিয়ারের বিতর থেকে অনবরত লাল রঙের জলপ্রপাত দেখে যে কারোর মনে হবে কোনও হরর মুভি চাক্ষুস দেখছেন। ১৯১১ সালে এই আশ্চর্য জলপ্রপাতটি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানীরা। অনেকের বিশ্বাস, ওই জলপ্রপাতের মধ্যে রয়েছে লাল রঙের শৈবাল। ২০০৯ সালে গবেষণা করে প্রমাণ করা হয়, রক্তের মতো লাল রঙের ওই জলপ্রপাতে রয়েছে অক্সিডাইজড আয়রন। যার কারণে জলের সঙ্গে লাল রঙ মিশে এমন দেখতে লাগে।

জোন অফ সাইলেন্স, মেক্সিকো

উত্তর মেক্সিকোর একটি অদ্ভূত জায়গা। যেখানে কোনও নেটওয়ার্ক কাজে লাগে না। যেখানে রেডিও সংকেত বা যোগাযোগের কোনও আধুনিক যন্ত্রপাতি একেবারেই বিকল। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মহাকাশের অজানা প্রাণীদের ঘোরাফেরা এখানে। রাতের অন্ধকারে ওই এলাকায় কিছু আলোর রেখা দেখা যায় মাঝে মাঝে। এই অঞ্চলে তেনারাই দখল করে বসে রয়েছেন। তাই পৃথিবীর কোনও অত্যাধুনিক যন্ত্র এখানে কোনও কাজে আসে না। আবার অনেকে বলে থাকেন, ওই এলাকায় কেউ কেউ সাহস নিয়ে পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা কিছু সময়ের পর অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলেন!

প্লেন অফ জারস, লাওস

লাওসের জিয়াং খোউংয়ে দেখতে পারেন এমন ধরণের বিশালকার জার। ৩-১০ ফুট উচ্চতার পাথরের তৈরি এই জারগুলির উত্‍স কোথা থেকে, তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তবে বিজ্ঞানীদের ধারণা, ১৫০০ থেকে ২০০০ বছর আগে এই জারগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল। স্থানীয়দের মতে, পৃথিবীতে বসবাসকারী বিশালকৃতি দৈত্যগুলিকে আত্মরক্ষার জন্য তৈরি করেছিল প্রাচীন রাজা খুন চেং। দীর্ঘকালীন যুদ্ধের পর জয়লাভের আনন্দে শস্য থেকে তৈরি মদ রাখার জন্য এই বড় বড় জারগুলি তৈরি করা হয়েছিল।

 

Next Article