নয়া দিল্লি: চলতি মাসের কেন্দ্রীয় বাজেটেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন যে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বৈধতার বদলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় নিজস্ব ডিজিটাল রুপি আনা হচ্ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে যে আস্থা নেই, তা আগেই জানিয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ। একইসঙ্গে এই অদৃশ্য মুদ্রায় বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িত থাকা নানা ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটরি পলিসি কমিটির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরও আরও একবার ক্রিপ্টোকারেন্সির বিরুদ্ধে আক্রমণ আনলেন তিনি। বললেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কোনও আসল মূল্য নেই, বরং আর্থিক স্থিতিশীলতাতেই ঝুঁকি তৈরি করে এই ডিজিটাল মুদ্রা।
১৭ শতাব্দীর ফরাসি টিউলিপ বাল্ব নিয়ে যে মাতামাতি শুরু হয়েছিল এবং তার যে বিশাল বাজার তৈরি হয়েছিল, তার সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সির তুলনা টেনে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ বলেন, “ক্রিপ্টোকারেন্সিতে যারা বিনিয়োগ করছেন, তাদের একটা জিনিস মাথায় রাখা উচিত যে তারা নিজস্ব ঝুঁকিতে বিনিয়োগ করছেন। তাদের একথাও মাথায় রাখা উচিত যে ক্রিপ্টোকারেন্সির কিন্তু কোনও অন্তর্নিহিত মূল্য নেই।”
ভারতে ক্রিপ্টোকারেনেসিতে বিনিয়োগ ও তার ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। চলতি বাজেট অধিবেশনেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ক্রিপ্টোকারেন্সির আইনি বৈধতার প্রশ্ন নিয়ে যে সংশয় ছিল, তা দূর করা হয়। বাজেট পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সাফ জানিয়ে দেন যে, রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের তরফে যে ডিজিটাল রুপি আনা হচ্ছে, একমাত্র সেটিই বৈধ ডিজিটাল মুদ্রা হিসাবে গণ্য করা হবে। বাকি সমস্ত ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা, যারমধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সিও অন্তর্গত, তা করের অধীনে পড়বে। অনলাইনে জুয়াকেও সরকার মান্যতা দিচ্ছে না এবং শীঘ্রই এই বিষয়ে নিয়মনীতি চালু করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।
অন্যদিকে, আরবিআই-র তরফেও বেসরকারি ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে কড়া অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন মুক্ত ও অজ্ঞাত হওয়ায়, এর উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারতীয় মুদ্রার মূল্য হ্রাস থেকে শুরু করে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্য়বহার করে হাওয়ালা বা সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার মতো কাজ হতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এই বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ বলেন, “বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি বা অন্য কোনও নাম হোক, এটি আমাদের মাক্রোইকোনমিক স্থিতাবস্থা ও আর্থিক স্থিতাবস্থার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।”
বাজেটেই আগামী অর্থবর্ষের মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিজস্ব ডিজিটাল রুপি আনার ঘোষণা করা হলেও, আরবিআই-র গভর্নর নির্দিষ্ট কোনও সময় জানাতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমরা ডিজিটাল রুপি তৈরি করা নিয়ে ধীরে ধীরে, সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছি। সাইবার সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে চাই আমরা।”
নয়া দিল্লি: চলতি মাসের কেন্দ্রীয় বাজেটেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন যে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বৈধতার বদলে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার সহযোগিতায় নিজস্ব ডিজিটাল রুপি আনা হচ্ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে যে আস্থা নেই, তা আগেই জানিয়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ। একইসঙ্গে এই অদৃশ্য মুদ্রায় বিনিয়োগের সঙ্গে জড়িত থাকা নানা ঝুঁকির কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটরি পলিসি কমিটির সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরও আরও একবার ক্রিপ্টোকারেন্সির বিরুদ্ধে আক্রমণ আনলেন তিনি। বললেন, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কোনও আসল মূল্য নেই, বরং আর্থিক স্থিতিশীলতাতেই ঝুঁকি তৈরি করে এই ডিজিটাল মুদ্রা।
১৭ শতাব্দীর ফরাসি টিউলিপ বাল্ব নিয়ে যে মাতামাতি শুরু হয়েছিল এবং তার যে বিশাল বাজার তৈরি হয়েছিল, তার সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সির তুলনা টেনে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ বলেন, “ক্রিপ্টোকারেন্সিতে যারা বিনিয়োগ করছেন, তাদের একটা জিনিস মাথায় রাখা উচিত যে তারা নিজস্ব ঝুঁকিতে বিনিয়োগ করছেন। তাদের একথাও মাথায় রাখা উচিত যে ক্রিপ্টোকারেন্সির কিন্তু কোনও অন্তর্নিহিত মূল্য নেই।”
ভারতে ক্রিপ্টোকারেনেসিতে বিনিয়োগ ও তার ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। চলতি বাজেট অধিবেশনেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ক্রিপ্টোকারেন্সির আইনি বৈধতার প্রশ্ন নিয়ে যে সংশয় ছিল, তা দূর করা হয়। বাজেট পরবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সাফ জানিয়ে দেন যে, রিজার্ভ ব্য়াঙ্কের তরফে যে ডিজিটাল রুপি আনা হচ্ছে, একমাত্র সেটিই বৈধ ডিজিটাল মুদ্রা হিসাবে গণ্য করা হবে। বাকি সমস্ত ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা, যারমধ্যে ক্রিপ্টোকারেন্সিও অন্তর্গত, তা করের অধীনে পড়বে। অনলাইনে জুয়াকেও সরকার মান্যতা দিচ্ছে না এবং শীঘ্রই এই বিষয়ে নিয়মনীতি চালু করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী।
অন্যদিকে, আরবিআই-র তরফেও বেসরকারি ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে কড়া অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেন মুক্ত ও অজ্ঞাত হওয়ায়, এর উপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ভারতীয় মুদ্রার মূল্য হ্রাস থেকে শুরু করে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্য়বহার করে হাওয়ালা বা সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার মতো কাজ হতে পারে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। এই বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ বলেন, “বেসরকারি ক্রিপ্টোকারেন্সি বা অন্য কোনও নাম হোক, এটি আমাদের মাক্রোইকোনমিক স্থিতাবস্থা ও আর্থিক স্থিতাবস্থার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।”
বাজেটেই আগামী অর্থবর্ষের মধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিজস্ব ডিজিটাল রুপি আনার ঘোষণা করা হলেও, আরবিআই-র গভর্নর নির্দিষ্ট কোনও সময় জানাতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমরা ডিজিটাল রুপি তৈরি করা নিয়ে ধীরে ধীরে, সতর্কতার সঙ্গে এগোচ্ছি। সাইবার সুরক্ষার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে চাই আমরা।”